শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সংবিধানের দোষ নেই, দোষ হচ্ছে যারা রাতের ভোট দিনে করেছেন: ডা. জাহিদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সংবিধানের কোনো দোষ নেই, দোষ হচ্ছে তাদের যারা রাতের ভোট দিনে করেছেন এবং দেশকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত পৌর বিএনপির সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আজ অনেকেই বলছেন, পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না এবং পিআর ছাড়া নাকি শাসক স্বৈরাচার হয়ে যাবে। সংবিধানের তো কোনো দোষ নেই, দোষ হচ্ছে যারা রাতের ভোট দিনে করেছেন।

তিনি আরও যোগ করেন যে, জনগণকে দেশের মালিক মনে না করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য, প্রশাসন আর বিচার বিভাগের কিছু মানুষকে কব্জা করে দেশ শাসনের চেষ্টা করেছেন। দেশটাকে নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তির মতো ব্যবহারের চেষ্টা করেছেন। দোষ তো তাদের, সংবিধানের নয়।

তিনি তাঁর বক্তব্যে সংবিধানের ভালো দিকগুলো তুলে ধরে বলেন, সংবিধানে তো খুব ভালো ভালো কথা লেখা ছিল। সংবিধান স্বৈরাচার হতে বলেনি। জনগণের ভোটের যাদের প্রয়োজন পড়েনি, সেই মানুষগুলো নিজেরা কর্তৃত্ববাদী হয়েছেন। স্বৈরাচার হিসেবে নিজেদের আবির্ভূত করেছেন। কাজেই স্বৈরাচার যদি রুখতে হয়, রাজনৈতিক যে মানসিকতা, রাজনৈতিক যে কালচার সেটার মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে।

পিআর পদ্ধতির প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, পিআর চান খুব ভালো কথা। পিআরের কথা বলে জনগণের কাছে যান। জনগণকে বোঝান, জনগণ মেনে নিলে আলহামদুলিল্লাহ। জনগণ যে রায় দেবে, সবাই মেনে নেবে। যখন ঐকমত্য কমিশন সবার সঙ্গে কথা বলছে, ওই সময় আপনারা রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে মাঠে চলে গেলেন। আপনারা কি সংঘাতের দিকে যেতে চান? আলোচনার টেবিলকে কি অবিশ্বাস করতে চান? নাকি অন্য কিছু চান?

মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন এবং সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। সম্মেলনে জেলা ও স্থানীয় বিএনপি নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

এই সম্পর্কিত আরো