বিয়ানীবাজার মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত নবজাতক গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা ইউনিয়নের আমকোনা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল হামিদের তৃতীয় সন্তান।
শনিবার দুপুরে পৌরশহরের দক্ষিণ বাজারস্থ হাসপাতালটিতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্ষুব্ধ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্বজনরা জানান, শনিবার সকালে প্রসব ব্যথা উঠলে আব্দুল হামিদের স্ত্রীকে বিয়ানীবাজার মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তি করার আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব স্বাভাবিক বলা হলেও দুপুরে নবজাতক মৃত অবস্থায় জন্ম নেয়।
তাদের অভিযোগ, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই অদক্ষ মিডওয়াইফ ও নার্স দিয়ে জোরপূর্বক প্রসব করাতে গিয়ে নবজাতকের মৃত্যু হয়। এক পর্যায়ে রোগীর পেটে চাপ প্রয়োগ ও শিশুর মাথা টেনে বের করার চেষ্টা করলে নবজাতক আটকে যায় এবং শেষ পর্যন্ত মারা যায়।
এ বিষয়ে প্রসূতির চাচাতো ভাই ছামী বলেন, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই এই মৃত্যু হয়েছে। বারবার অনুরোধ করলেও কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজুল ইসলাম সালেকিন জানান, চিকিৎসায় অবহেলার কোনো বিষয় তার জানা নেই। প্রথমে মিডওয়াইফ প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। পরে জটিলতা দেখা দিলে তিনি সহায়তা করেন। এক পর্যায়ে নবজাতক আটকে গেলে আবাসিক সার্জন এসে ডেলিভারি সম্পন্ন করেন।
হাসপাতালের পরিচালক আমিনুল ইসলাম শাকিল বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”