সিলেট নগরীর ক্বীনব্রিজ এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত হকারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে, যা সরাসরি তদারকি করছেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে ক্বীনব্রিজ ও আশপাশের সড়কে হকারদের উপস্থিতি পরিবহণ ব্যবস্থা বিঘ্নিত করে আসছিল, যা জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা তৈরি করছিল।
এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন এ অভিযান শুরু করেছে। সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ক্বীনব্রিজকে যানজটমুক্ত এবং নিরাপদ রাখতে হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম অত্যন্ত জরুরি। আমরা চাই এ এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হোক।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম জানান, হকারদের পুনর্বাসন কার্যক্রম ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে এবং উচ্ছেদ অভিযানকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকল ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে, মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর ক্বীনব্রিজে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করার প্রস্তাব জানানো হলে, দক্ষিণ সুরমার ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাসহ বিভিন্ন স্তরের জনগণ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করে এবং ক্বীনব্রিেে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের প্রস্তাব বাতিলের দাবি জানান। তাদের মতে, ক্বীনব্রিজ সুরমার দুই তীরের জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত পথ এবং মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ হলে সাধারণ মানুষের জন্য চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে।
স্মারকলিপি গ্রহণের পর জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম স্থানীয় রাজনৈতিক ও পরিবহণ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি ক্বীনব্রিজে মোটরসাইকেল চলাচল আপাতত বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ পরিস্থিতি নিয়ে শহরজুড়ে নানা আলোচনা চলছে এবং সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ভবিষ্যতে নতুন সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।