বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

ফের কিনব্রিজকে পদচারী সেতু করার উদ্যোগ

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ দিয়ে গাড়ি চলাচল আগে থেকেই বন্ধ রয়েছে। কেবল মোটর সাইকেল চলাচল করতো এ সেতু দিয়ে। তবে এখন থেকে মোটর সাইকেল চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম।

মোটর সাইকেল চলাচল বন্ধ করে কেবল হাঁটাচলার জন্য এই সেতুটি উন্মুক্ত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি। এই উদ্যোগ সফল হলে ১ হাজার ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই সেতু হবে দেশের দীর্ঘতম পদচারী সেতু। শনিবার থেকেই এ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডিসি। যদিও এর আগে সিটি করপোরেশন এবং সড়ক ও জনপথের পক্ষ থেকে দুইবার এ উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয়দের আপত্তির মুখে সফল হওয়া যায়নি।

সিলেট অঞ্চলের প্রথম সেতুর নাম কিনব্রিজ। সুরমা নদীর সিলেট নগরীর অংশে লোহার কাঠামোয় তৈরি কিনব্রিজকে পদচারী সেতুতে রূপান্তর করা হলে সেতুটিকে সিলেটবাসী আবার নতুন করে পাবেন। শুধু হাঁটাচলার জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে কিনব্রিজ হবে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ পদচারী সেতু।

এরআগে ২০১৯ সালে ঐতিহ্যের এই সেতুটিকে সংরক্ষণ করতে এই সেতু দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে ওই বছরের ৩১ আগস্ট মধ্য রাতে কিনব্রিজের উভয় প্রবেশপথে লোহার বেষ্টনী লাগিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেতুর সামনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লিখা সাইনবোর্ড টানানো হয়। শুধুমাত্র পথচারীরা সেতুটি ব্যবহার করার সুযোগ পান।

তবে কিনব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পর সেতুন দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দারা বিক্ষোব্ধ হয়ে ওঠেন। তাদের যাতায়াত সুবিধার জন্য এ সেতু দিয়ে যান চলাচল অব্যাহত রাখার দাবি জানান। কিছুদিন পর কিনব্রিজের উভয় প্রবেশপথে লাগানো লোহার বেষ্টনী ভেঙে রিকশা চলাচল শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে প্রায় পুরো বেষ্টনীই গায়েব হয়ে যায়।

এরপর ২০২৩ সালের সংস্কারের পর সেতুটিতে যান চলাচল বন্ধ রেখে শুধু পায়ে হাঁটার জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরে মোটর সাইকেল চলাচলেরও সুযোগ দেওয়া হয়।

সিলেট নগরীর বুক চিড়ে যাওয়া সুরমা নদীর উত্তর ও দক্ষিণ পারের বাসিন্দাদের যোগাযোগ সুগম করতে ১৯৩৩ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয় কিনব্রিজের। ১৯৩৬ সালে সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। লোহা দিয়ে তৈরি এর আকৃতি অনেকটা ধনুকের মতো, যার দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কিনের নামে সেতুর নামকরণ হয় কিনব্রিজ। ধীরে ধীরে সিলেটের পরিচিতির অংশ হয়ে ওঠে সেতুটি। বর্তমান পর্যটননগরী সিলেটে পর্যটকদের প্রিয় একটি স্থান হলো এই কিনব্রিজ। এই ব্রিজের পাশে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলেই পর্যটকরা সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে জানান দেন তারা সিলেটে এসেছেন।

এই সম্পর্কিত আরো