নিখোঁজের তিনদিন পর নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জমিয়ত নেতা মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর মরদেহ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও দিরাই উপজেলার মধ্যবর্তী শরীফপুর এলাকার পুরনো সুরমা নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান চৌধুরী।
মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি। এবং বড়মোহা দারুল উলুম ইসলামিয়া আরবিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। তিনি জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গাজীনগর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।
নিহত মুশতাক আহমদ গাজী নগরীর স্ত্রী রুবি বেগম বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এশার আযানের সময় আমার স্বামী বলছিলেন, পাথারিয়া বাজার যাবেন। এরপরে আমি নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম। এ সময় আমার মেয়ে পড়তে বসছিল, তাকে বলছি বাবা আসলে যেন আমাকে ডাক দেয়। আমার মেয়ে অপেক্ষা করতে করতে রাত দশটা একান্ন মিনিটে ফোন দিয়েছে, তখন তিনি বলছেন, আমি সুনামগঞ্জে গেছি, আমি আসব। এই বলে ফোন রেখে দিয়েছেন। এর দুই মিনিট পরে তিনি আবার ফোন দিয়ে বলেছেন, আমি এক ঘণ্টার মধ্যে আসছি, এটাই ছিল শেষ কথা। এরপর বার বার ফোন দিলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে মাওলানা মুশতাক আহমদের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবিতে শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন জমিয়তের নেতৃবৃন্দ।
এতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের সহসভাপতি শায়খুল হাদিস আল্লামা নুরুল ইসলাম খান, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজিনগরী ও জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যবুর রহমান। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুশতাক আহমদের হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।