সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার উত্তরকুল সীমান্তে চোরাকারবারিদের হামলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরকুল সীমান্তের গঙ্গারচরে এই ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে আটককৃত সাতটি ভারতীয় মহিষ ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরকুল সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারি হারুছ বাহিনীর ভারতীয় মহিষ প্রবেশের খবর পেয়ে বিজিবির একটি টহল দল গঙ্গারচর এলাকায় অভিযান চালায়। বিজিবি সদস্যরা অবৈধ মহিষ আটক করতে গেলে চোরাকারবারি হারুছ বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় এক বিজিবি সদস্য আহত হন।
হামলার পর চোরাকারবারিরা আটটি মহিষ নিয়ে নিয়াগুল গ্রাম দিয়ে সোনসারবাজারের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। পথে ছোটপুল নামক স্থানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হারুছ বাহিনীর সদস্য সাইফুল একটি মহিষ নিয়ে পালিয়ে গেলেও বাকি সাতটি মহিষ ঘটনাস্থলে ফেলে যায়। স্থানীয়রা মহিষগুলো খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্নাকে জানান। তবে ওসি পুলিশ কর্তৃক কোনো মহিষ আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন যে, বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পুলিশ ভারতীয় সাতটি মহিষ ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সাংবাদিক এমাদ উদ্দিন এনাম এই বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্নার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি প্রথমে বলেন, "পুলিশ থাকতে আপনারা টেনশন করছেন কেন? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গেলে তো আপনাদের টেনশন করার কোনো দরকার নেই।"
তবে পরে তিনি নিজেই জানান, "আমি খবর পেয়েছি চোরাকারবারি হারুছ বাহিনীর লোক পুলিশকে বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে মহিষগুলো ছাড়িয়ে নিয়েছে।" যদিও জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, "মহিষ আটক করা হয়নি।"
এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মহিষ আটক করেনি।
বিজিবি ও চোরাকারবারিদের সংঘর্ষের বিষয়ে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হকের মুঠোফোনে একাধিবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনও বক্তব্য সম্ভব হয়নি।