মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ক্লিভডন চা-বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে চা-শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে না গিয়ে বাগানের ম-পে সমবেত হয়ে সভাপতির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ শুরু করেন। দুপুরে সভাপতি পক্ষের শ্রমিকরা এসে তাকে স্বপদে রাখার পক্ষে কথাবলা শুরু করেন। এনিয়ে দুই পক্ষের শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
বাগানের দফা সর্দার কারমা মির্দা, মেম্বার প্রার্থী অজিত গোয়ালা, কলেজ ছাত্র প্রদুম পাশী, শ্রমিক মনিরাম উরাং, চন্দন বুনার্জী ও রিপন চাষাসহ অনেকেই জানান, মোহনলাল গোয়ালা দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিক সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ইদানিং তার বিরুদ্ধে শ্রমিকের টাকা, মন্দিরে অনুদানের টাকা এবং পূজাপার্বনে আয়কৃত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে গত সোমবার (২৫ আগস্ট) একটি বৈঠক বসে। তখন মোহনলাল সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি বৈঠকে লোকজন নিয়ে এসে ঝামেলা করে চলে যান।
চা শ্রমিক সেফালী মির্দা ও সাবিত্রী ছত্রী বলেন, বাগানের স্থায়ী শ্রমিক করে দেওয়ার জন্য বাগান সভাপতি মোহনলাল গোয়ালা তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কিন্তু তাদেরকে তালিকায় নাম না দিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছেন।
এব্যাপারে চা-বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোহন লাল গোয়ালা টাকা আত্মসাতের বিষয়টি সম্পূর্ণ বানোয়াট বলে জানান, বাগানের কয়েকজন শ্রমিক তাদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে তাকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ শ্রমিক তাকে সভাপতি হিসেবে চাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন শ্রমিক হামলা চালায়। তাদের অতর্কিত হামলায় সুমা রায়, সুখলাল রায় এবং সজল রায় নামের ৩জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
এদিকে আহত সুমা রায় বাদী হয়ে প্রধুম পাসী, সজীব ভর এবং দ্বপিক রাজ ভরের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনকে আসামী করে কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক জানান, বাদী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।