সিলেট জেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয় নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
বুধবার সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এমনটি জানানো হয়৷ আদেশে এসব কর্মকান্ড ‘সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেন।
সিলেটে পাথর কোয়ারিগুলোর ইজারা প্রদান বন্ধ রয়েছে। পাথর উত্তলনে উচ্চ আদালতেরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবু অবৈধভাবেই পাথর উত্তোলন ও লুট চলছে।
অবৈধ এসব কর্মকান্ডে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন এমন প্রশ্নে ডিসি মো. সারওয়ার আলম বলেন, যারা অবৈধ এসব কর্মকান্ড করছে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতেই এই আদেশ। যাতে তারা এসব অবৈধ কাজ আর না করে।
অফিস আদেশে বলা হয়, যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা সমূহের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন, লুণ্ঠন ও পাচারের সাথে জড়িত রয়েছেন, এবং যেহেতু, প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, সেহেতু, সিলেট জেলায় অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয় সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ আদেশ সরকারি আদেশ হিসেবে গণ্য হবে বলেও আদেশে বলা হয়।
এরআগে গত শনিবার ভোলাগঞ্জের লুট হওয়া সাদাপাথর স্বেচ্ছায় ফিরিয়ে দিতে তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর সেই সময় সীমা শেষ হয়েছে।