রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেড় লাখে ১০৭ পুরোনো গাছ বিক্রি, কাটা হলো ২২টি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিলাম করে চলছে বৃক্ষনিধন। আজ শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসের বাস্কেটবল মাঠের পাশে

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোনো গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠের দুপাশে থাকা চারটি গাছ কাটা হয়েছে। দুদিন আগে থেকে গাছ কাটা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৭টি গাছ দেড় লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে। গত দুদিন ও আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২২টি গাছ কাটা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজের পেছনে থাকা জঙ্গল ও বাস্কেটবল মাঠের পাশ থেকে অধিকাংশ গাছ কাটা হয়েছে। এসব গাছের মধ্যে আকাশমণি, কদম ও রেইনট্রি রয়েছে। অধিকাংশই ছায়াবৃক্ষ হিসেবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের চলাফেরা ও আড্ডায় তীব্র রোদ থেকে রক্ষা করত।

বেলা আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কেটবল মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পূর্ব পাশে মেডিকেল–সংলগ্ন সড়কের দুটি গাছ ও পশ্চিম পাশের দুটি গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কাটার সঙ্গে যুক্ত দুজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশের এক ব্যবসায়ীর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গাছগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। গাছ কাটার বিষয়ে একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। সেখানে পুরোনো গাছ কেটে নিলামের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গাছ কাটায় ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন সরকার বলেন, শহীদ মিনারের পেছনে এখনো গাছ কাটা হচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা যায় পুরোনো গাছগাছালি সংরক্ষণ করা হয়। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটা হচ্ছে। এমনটা হওয়া তো দুঃখজনক। নতুন গাছ লাগালেও তো এসব গাছের জায়গা পূরণ হবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার প্রধান অধ্যাপক আবুল হাসনাত প্রথম আলোকে বলেন, যেসব গাছ পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে। কয়েকটি বিভাগ ও দপ্তর থেকে অনুরোধও ছিল। বাস্কেটবল মাঠের পাশের কিছু গাছ হেলে পড়ে সমস্যা করছিল। তাই মাঠ ঠিক করে নতুন করে ছায়াবৃক্ষ লাগানোর পরিকল্পনা আছে। আকাশমণি–জাতীয় গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে সরকারিভাবেও আদেশ আছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগ থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেট বন বিভাগের টাউন রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গাছ কাটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কোনো কিছু জানায়নি।

এর আগে ক্যাফেটেরিয়ার সামনে একটি কদমগাছ কাটার প্রতিবাদে ১২ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন একদল শিক্ষার্থী।

এই সম্পর্কিত আরো