শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ

সাদাপাথর লুট : প্রতি নৌকা থেকে ‘৫০০ টাকা নিতো’ বিজিবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনায় বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবিরও সম্পৃক্ততা পেয়েছে দুনীীৃতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, টাকার ভাগ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা চুপ থাকতেন। লুটপাট ঠেকাতে কোন উদ্যোগ নেননি।

যদিও বিজিবি কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সাদপাথরের পাথর লুটের ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি টিম সাদাপাথর পরিদর্শন করে। এরপর তারা ১৬ আগস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রতিবেদনে সাদাপাথর লুটে বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। এতে বিভাগীয় কমিশনার, ডিসি এসপি, ইউএনও, ওসি- সবাইকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীরা লুটপাটে জড়িত উল্লেখ করে তাদের ৪২ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পাথর আত্মসাতের ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তা ও যোগসাজশ ছিল।

প্রতিবেদনে বিজিবিকে দায়ী করা বলা হয়, সাদা পাথর এলাকায় ৩টি বিজিবি পোস্ট রয়েছে। এগুলো হতে লুটের ঘটনাস্থলের দূরত্ব ৫০০ মিটার থেকেও কম। এত কম দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও কোম্পানি কমান্ডার ইকবাল হোসেনসহ বিজিবি সদস্যদের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীরা খুব সহজেই পাথর লুটপাট করতে পেরেছে। বিজিবি সদস্যরা প্রতি নৌকা ৫০০ টাকার বিনিময়ে এলাকায় প্রবেশের অনুমতি দেয় এবং পাথর উত্তোলনের সময় বাধা প্রদান করেননি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ৪৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাজমুল হক বলেন, ‘এ তথ্যের (দুদকের তথ্য) কোনো সত্যতা নেই। এটা মিথ্যা। কিসের ভিত্তিতে এমন কথা বলা হলো, জানি না।’

সাদাপাথর লুটের ঘটনায় ইতোমধ্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে।

সাদাপাথর লুট নিয়ে গত ১৭ আগস্ট পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “এখানে যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে উঠেছে, এর বিপরীতে প্রশাসনের হয় যোগসাজশ করেছে, নতুবা নীরব থেকেছে অথবা দুটোই ঘটেছে। এজন্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব এবং দ্রুতই নেব।”

আর শুক্রবার সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো: মোখলেস উর রহমান বলেছেন, লুটের ঘটনায় যারাই জড়িত, সে যত বড় দলের কিংবা প্রশাসনেরই হোক না কেন— কেউই ছাড় পাবে না। কাউকেই আইনের বাইরে রাখা হবে না।

এই সম্পর্কিত আরো