সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর লুটের সাথে মহানগর বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার নাম আসায় ফেসবুকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ। এ জন্য গণমাধ্যমেও দোষারূপ করেছেন মকসুদ।
বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ করে মকসুদ ‘তথাকথিত এসব হলুদ মিডিয়ার বিরুদে সবাই রুখে দাঁড়ানোর’ আহ্বান জানান।
সাদাপাথর লুট নিয়ে তদন্ত শেষে সম্প্রতি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে দুদক। ওই প্রতিবেদনে ৫৩ ব্যিাক্ত ও প্রতিষ্ঠান লুটপাটে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়। এ তালিকায় সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর নাম রয়েছে। যদিও বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে লুটেরাদের তালিকায় নাম থাকাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন।
এছাড়া কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদের বালু লুটের সাথে যুবদল নেতা মকসুদ আহমদ জড়িত বলে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এসব বিষয় নিয়ে বুধবার মকসুদ আহমদ ফেসবেকে লিখেন- ‘সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ থেকে সাদাপাথর চুরির সঙ্গে জড়িত স্থানীয় ৪২ জনের সাথে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কয়েস লোদী ও সাধারন সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী নাম যুক্ত করায় আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি আরও লিখেন- ‘প্রাথমিক অবস্থায় মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার নাম যুক্ত করলেও দলের সবাই নীরব থাকলেও আমি সবাইকে আহবান করছি দলের বিরুদ্ধেে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক বিতর্কিত বিষয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার আহবান জানাই, মত প্রকাশে ভিন্নতা থাকলেও দলের যে কোন নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ব্যাপারে সবার প্রতিবাদ জানানো উচিত, তথাকথিত এসব হলুদ মিডিয়ার বিরুদে সবাই রুখে দাঁড়ান।’