সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানবাজার থেকে দয়ামীর সড়ক অবশেষে সংস্কারের আওতায় এসেছে। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ ও অভিযোগের পর প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের বালাগঞ্জ অংশে সংস্কারকাজ শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসীর মাঝে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) থেকে এ সংস্কারকাজ শুরু হয়।
এনিয়ে গত ১২ আগস্ট দৈনিক সবুজ সিলেট প্রত্রিকায় “গর্তে ভরা সড়ক যেন ‘দু:খের নদী” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তারপর টনক নড়ে সশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।
এক সময় এই সড়কটি বর্ষার মৌসুমে একেবারে ‘দুঃখের নদী’র রূপ নিয়েছিল। গহরপুর পোস্ট অফিস থেকে মাদ্রাসা বাজার, স্থানীয় হাবিব মিয়ার বাড়ির আশপাশ, ইছামতি গ্রামের পূর্ব দিক থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক সংযোগস্থল পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে পথচারী ও যানবাহনের চলাচল হয়ে উঠেছিল দুঃসাধ্য। প্রতিদিন দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি ছিল নিত্যসঙ্গী।
বর্তমানে সড়কের প্রায় অর্ধেক, অর্থাৎ বালাগঞ্জ অংশের মাদ্রাসা বাজার থেকে মোরারবাজার পর্যন্ত সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। এর আগে আলিখা থেকে মাদ্রাসা বাজার অংশে কাজ শুরু হলেও মাঝপথে তা বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এবার যেন কাজটি দ্রুত ও মানসম্মতভাবে শেষ হয়।
আলাপকালে-মাদ্রাসা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম হাজীপুরী বলেন, বছরের পর বছর এই রাস্তায় যাতায়াত করা ছিল এক যন্ত্রণার মতো। এখন কাজ শুরু হওয়ায় আমরা আশার আলো দেখছি।
সিএনজি চালক মামুন মিয়া বলেন, প্রতিদিন গাড়ি নিয়ে ঝুঁকি নিতে হতো। রাস্তা সংস্কার হলে যাত্রীদের ভোগান্তিও অনেকটা কমবে।
ছমিরুন নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশহুদ আহমদ বলেন, এতদিন এই সড়ক দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া খুব কষ্টকর ছিল। সংস্কার হলে জনসাধারণের জন্য অনেকটা নিরাপদ হবে।
এ বিষয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী প্রদীপ দেব নাথ জানান, সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসা বাজার থেকে মোরারবাজার পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন হবে। আপাতত আরসিসি’র (RCC) কাজ শেষ করে পরবর্তী ধাপের কাজ করা হবে।
এদিকে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, সংস্কারকাজ দ্রুত ও মানসম্মতভাবে শেষ হলে বহু বছরের ভোগান্তি অবসান হয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আবারও প্রাণ ফিরে পাবে।