মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দ্রুততম সময়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ ও নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ সংস্কারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে কুলাউড়াস্থ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামের সামনে কুলাউড়ার ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া সংগঠন ও কুলাউড়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে উপজেলার প্রায় ৮০টি ক্রীড়া ও সামাজিক সংগঠন। কর্মসূচিতে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
ক্রীড়া সংগঠক আব্দুল কাইয়ুম মিন্টুর সভাপতিত্বে ও মাসুদ রানার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাছ খান, কুলাউড়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৌম্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য সজল, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক রেদওয়ান খাঁন, উপজেলা জামায়াতের আমির সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মুন্তাজিম, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, বহির্বিশ্ব জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি সাইফুল আলম চৌধুরী, বিএনপি নেতা শামীম আহমদ চৌধুরী, বদরুজ্জামান সজল, সুফিয়ান আহমদ, সিনিয়র সাংবাদিক খালেদ পারভেজ বখশ ও এম মছব্বির আলী, সাবেক ফুটবলার শেখ আলী আজন, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, সংগঠক হেমন্ত চন্দ্র পাল, ক্রীড়া সংগঠক সারোয়ার আলম বেলাল, তোফায়েল আহমদ ডালিম, আব্দুল মুহিত বাবলু, নুরুল ইসলাম ইমন, মুসা আহমদ সুয়েট, সোহেল আহমদ, রেজাউল আলম ভূঁইয়া খোকন, সৈয়দ হৃদয় আহমদ সদর, নাজমুল বারী সোহেল, আলমাছ পারভেজ তালুকদার, রফি আহমদ তানিম, কাওসার আহমদ বাপ্পু, ক্রিকেটার মোকাম্মেল আলী শাহেদ, কাওসার আহমদ বাবলু, আব্দুল্লাহ সালেহ চৌধুরী আলিফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সিলেট বিভাগের মধ্যে ক্রীড়াঙ্গনের উর্বর ভূমি হলো কুলাউড়া। কিন্তু কুলাউড়ায় একটি খেলার স্টেডিয়াম নেই। স্টেডিয়াম শুধু দাবি নয় এটা আমাদের অধিকার। খেলোয়াড়দের প্রতিভা বিকাশ ও যুবসমাজকে রক্ষা করতে স্টেডিয়াম নির্মাণে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। তারা আরো বলেন, সবধরণের খেলার জন্য নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠটি ব্যবহার করা হয়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মাঠ।
দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এই মাঠে খেলাধুলা করে আসছে কুলাউড়ার যুব ও তরুণ সমাজ। কিন্তু সেই মাঠটিও আজ বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। মাঠটিকে খেলার উপযোগী না করলে দিন দিন এলাকার যুব সমাজ খেলা থেকে বিমুখ হয়ে মাদকসহ বিভিন্ন রকম অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে।
আমরা সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, অচিরেই মাঠটিকে খেলার উপযোগী করে তুলতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে এবং কুলাউড়ায় একটি স্টেডিয়াম যেন দ্রুত নির্মাণ করা হয়। এসকল দাবি আদায় না হলে আগামীতে সকল ক্রীড়ামোদী মহলদের নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দেয়া হয়।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে কুলাউড়ার সকল ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষে সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়াবিদরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।