সিলেট-ঢাকা, সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে ২টি স্পেশাল ট্রেন চালু, আখাউড়া-সিলেট রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণসহ ৮ দফা দাবিতে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে এক বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সিলেটের সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দ আয়োজিত মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ সিলেট ও কুলাউড়ার সদস্যবৃন্দ , সিলেটের বিভিন্ন সামজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কুলাউড়ার সর্বস্তরের ট্রেনযাত্রীবৃন্দ, সিলেট রেলওয়ে উন্নয়ন ফোরাম, বাংলাদেশ রেলওয়ে ফ্যান ফোরাম সিলেট।
মানববন্ধনে উক্ত আন্দোলনের সিলেট জেলা সমন্বয়ক ও সিলেট বিভাগীয় যুব সংগঠক লায়ন আমিন উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক এম আতিকুর রহমান আখইয়ের পরিচালনায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শামীম আহমদ রনি, দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক কবির আহমদ সোহেল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের সিলেট বিভাগের প্রেসিডেন্ট রকিব আল মাহমুদ, বাংলাদেশ যুব জমিয়ত কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কবির আহমদ, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি এডভোকেট এম এ সালেহ আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট সৈয়দ কাওছার আহমদ, সিলেট বিভাগীয় যুব সংগঠক এহছানুল করিম মিশু, মোহনা টিভির সিলেট ব্যুরো চীফ শিপার আহমদ চৌধুরী, কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখ্শ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল বারী সোহেল, সাংবাদিক মাহফুজ শাকিল, মহি উদ্দিন রিপন, কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান, প্রচার সম্পাদক এইচ ডি রুবেল, শ্রমিক নেতা ইসলাম উদ্দিন, জাহিদ মিয়া, সংগঠক আব্দুস শুকুর ছরকুম, মানবিক রক্তদান ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সভাপতি মো: আব্দুল মাজিদ, সিলেট রেলওয়ে উন্নয়ন ফোরামের এডমিন জাহিদ মাহমুদ, সিলেট জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা জাহিদ মিয়া, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে সিলেট ও কুলাউড়ার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সাংবাদিক নেতৃবন্দসহ বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ অংশ নেন।
এসময় বক্তারা ৮ দফা দাবি জানিয়ে বলেন, সিলেট-ঢাকা, সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে ২টি স্পেশাল ট্রেন চালু, সিলেট-আখাউড়া রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকতরণ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্ত:ত একটি লোকাল ট্রেন চালু, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে সকল বন্ধ স্টেশন চালুকরণ, কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্ধকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকাগামী আন্ত:নগর কালনী ও পারাবত ট্রেনের আজমপুরের পর ঢাকা অভিমুখী সকল স্টেশনের যাত্রা বিরতী প্রত্যাহার। সিলেটের সাথে চলাচলকারী ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন যুক্ত করা। যাত্রীদের চাহিদা অনুপাতে প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, ৮ দফা না মানলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই দাবি আদায়ের আন্দোলন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সিলেটবাসী তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সর্বস্তরের ট্রেন যাত্রীবৃন্দ নামক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম জানান, ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গত ১১ আগস্ট কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা, সচিব ও রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এছাড়া সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্টেশনে সংশ্লিষ্ট উপজেলার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও প্রচারপত্র বিলি, রেলওয়ে ও জনপ্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করা হচ্ছে। আগামী ৩০ আগস্ট কুলাউড়া জংশন স্টেশনে প্রতিবাদ সভা হবে। সেই প্রতিবাদ সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।