✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পরিবর্তনের দাবিতে স্মারকলিপি

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিগঞ্জ উপজেলা থেকে স্থান পরিবর্তন করে জেলা সদরে স্থান নির্ধারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন সুনামগঞ্জের সুধিজনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন।


রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার কাছে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ‍্যাড. মল্লিক মইন উদ্দিন আহমদ সোহেল, সিনিয়র আইনজীবী হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক অ‍্যাড. শেরেনুর আলী, জেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক কমিটির সদস‍্য মো. আকবর আলী, অ্যাড. মো. আব্দুল হক, রেজাউল হক, অ‍্যাড. মাসুক আলম, অ‍্যাড. জিয়াউর রহিম শাহীন, অ‍্যাড. আবুল কালাম আজাদ, অ‍্যাড. নুরুল ইসলাম নুরুল, আ.ত.ম মিসবাহ, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অ‍্যাড. মো. শামসুদ্দীন, অ‍্যাড. এনাম আহমদ, বৈষম‍্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা ইমন দ্দোজা, ছাত্রদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।

স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেরেনূর আলী বলেন, তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রভাব দেখিয়ে সুনামগঞ্জ শহরের অদূরে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জন্য স্থান নির্ধারণ করেন। জেলা শহরের সরকারি খাস জমি থাকার পরও শহরকে উন্নয়ন বঞ্চিত করে অনেক মেগা প্রকল্প বাগিয়ে নেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণের বিষয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। আমরা মনে করি জেলার একটি প্রধান বিদ্যাপীঠ শহরের আশেপাশে হোক। ক্যাম্পাসের জন্য যে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি পরিবর্তন করে শহরের অদূরে নির্ধারণ করা হোক৷ এক্ষেত্রে আমরা সরকারকে সকল ধরণের সহযোগিতা করতে শহরবাসী প্রস্তুত রয়েছে।


উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর একনেকের বৈঠকে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়া হয়।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। আইন পাস হওয়ার পর শান্তিগঞ্জ উপজেলা সদরে সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একটি অস্থায়ী ভবনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় সদর উপজেলা অংশে স্থায়ী জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ নিয়ে সুধীমহল ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ‍্যে মতবিরোধ। বর্তমানে ৪টি বিষয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ১ শত ১৮জন শিক্ষার্থী অধ‍্যয়নরত রয়েছেন।

এই সম্পর্কিত আরো