সিলেটের ওসমানীনগরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩২) ও আরশ আলী নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ইলাশপুর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালক নাজমুল ইসলাম (৩২) উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের বড় ইশবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে এবং আরশ আলী উমরপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা।
বিকেলে গোয়ালাবাজার থেকে সিলেটে উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন নাজমুল ও আরশ আলী। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ইলাশপুর নামক স্থানে আসলে পিছন থেকে আসা ঢাকা এক্সপ্রেস নামে একটি দ্রুতগামী বাস সজোরে ধাক্কা দিলে দুজনই সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত নাজমুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে এবং আরশ আলীকে আহত অবস্থা উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর সন্ধ্যায় উপজেলার তাজপুর বাজারে ঘাতক বাস আটক করে উত্তেজিত জনতা অগ্নিসংযোগ করেন। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভান। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
অগ্নিসংযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্তব্যরত সদস্য জাহদুল আহমদ।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছি। বাস রেখে চালক পালিয়ে যাওয়ায় বিক্ষুদ্ধ জনতা বাসে অগ্নিসংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিস আগুন নিভানোর পর আমরা বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে এসেছি।