গোলাপগঞ্জে সাবেক এক ছাত্রদল নেতার পরকীয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার এক ঘণ্টা পরেই খুন হয়েছেন রনি হোসেন (২৬) নামের এক যুবদল কর্মী। শনিবার রাত ১২টার দিকে গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের কদমতলী পয়েন্ট এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত যুবদল কর্মী রনি হোসাইন উপজেলার আমুড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের ছেলে। আর অভিযুক্ত শেখ রাজু (৩৫) গোলাপগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁরা দুজনই বন্ধু ছিলেন।
জানা গেছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে ছাত্রদল নেতা রাজুকে নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট দেন রনি হোসাইন। পোস্টে রাজুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন তিনি। পোস্টের সঙ্গে রাজু ও এক নারীর অন্তরঙ্গ ছবিও জুড়ে দেন রনি। এর ঘণ্টাখানেক পরই ছুরিকাঘাতে খুন হন রনি।
শনিবার রাতে রনি হোসাইন তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘এই কুলাঙ্গার দুইটা বাচ্চা রেখে অন্য আরেকজনের বিবাহিত বউ নিয়ে হোটেলে হোটেলে ঘুরতেছে আর পরকীয়া করতেছে। এর প্রতিবাদ করেছিলাম এ জন্য ফেক আইডি চালু করে আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট কথা আমার নামে পরিচালনা করতেছে এখন সে।’
এর আগেও একই বিষয়ে রাজুকে নিয়ে একাধিক পোস্ট দেন রনি। এরই জেরে হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্যা।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, এটি ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। আমরা অভিযুক্ত রাজুকে আটকে অভিযান চালাচ্ছি। আর ময়নাতদন্তের জন্য রনির লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’