হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান জাকিরের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘হাবিবুর রহমান জাকি তিন বছর আগে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার বন্ধু জুয়েল আকরাম রানার বাসায় নিয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে।
পরবর্তীতে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে নিয়মিত ধর্ষণ করত সে। এক পর্যায়ে আমি চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পরীক্ষা করে জানতে পারি আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারপর হাবিবুর রহমান জাকিকে জানালে সে আমার বাচ্চা নষ্ট করার জন্য বলে। না হয় আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যান কাছে বিচার নিয়ে গেলে তিনি আশ্বাস দিলে হাবিবুর রহমান জাকি ও তার পরিবার বিষয়টি দেখবে বলে কালক্ষেপণ করেন। পরে আমি হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এ মামলা করি।’
অভিযুক্ত মো. হাবিবুর রহমান জাকির সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পলাশ বলেন, ‘আমি অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির অভিযোগ পেয়েছি।
হাবিবুর রহমান জাকি ও তারপর পরিবারকে চাপ দিলে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাই সমাধান করতে পারিনি।’
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আলম জানান, আদালত থেকে এমন কোনো কাগজ আমরা এখনো পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।