জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহত জুলাইযোদ্ধাদের নিয়ে এক সম্মিলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মুস্তফা মুন্না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, যুদ্ধাহত ও সক্রিয় জুলাইযোদ্ধারা, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। স্মৃতিচারণায় বক্তারা বলেন, রক্তঝরা জুলাই ছিল বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণের বাস্তব উদাহরণ। তারা সবাইকে এই অর্জনকে রক্ষা ও সংরক্ষণের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দমন করতে বিয়ানীবাজারে যারা সন্ত্রাসী তৎপরতায় যুক্ত ছিল, তাদের পরিচয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরলেও এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাঁরা থানার লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সন্ত্রাসমুক্ত ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে পরিণত করার দাবি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, "জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা গণহত্যা ও নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের বিচারের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। কোনো অপরাধী আইনের ঊর্ধ্বে নয়।"
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জুলাইযোদ্ধাদের সম্মাননা স্মারক ও উপহার প্রদান করা হয়। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।