বিয়ের সানাই বাজছিলো. তার তালে তালে নাচ গান চলছে। বিয়ের বাড়িতে রংয়ের হুলিখেলা ও আনন্দের কমতি নেই। আত্মীয় স্বজন সকলেই বাড়িতে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিলো। হঠাৎ যেন বজ্রপাত, বিদ্যূৎ পিষ্ট হয়ে কনের মায়ের মৃত্যু, সব আনন্দ উৎসব বন্ধ, হরিষে বিষাদ, নীরব সবাই শোকের ছায়ায় আছন্ন সবাই। কিন্তু কে জানতো নিমিষেই বিদ্যুৎ কেড়ে নেবে কনের মায়ের জীবন। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ির খড়িয়া গ্রামে গতকাল রাতে। মায়ের মৃত্যুর খবর না জেনে কলেজ ছাত্রী কনের বাড়ির বদলে বিয়ে হলো হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়ী মন্দিরে।
গতকাল রবিবার দিবাগত রাত ১০ টায় এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এদিকে কনের মা আরতি সরকার (৫০) এর লাশ রয়েছে সদর হাসপাতালে। সে খড়িয়া গ্রামের শ্রীনন্দ সরকারের স্ত্রী।
জানা যায়, কলেজ ছাত্রী স্বর্ণা সরকারের পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ধনাঢ্য পরিবারে এক ছেলের সাথে। গতকাল রবিবার রাত ১০ টায় ছিলো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। এ উপলক্ষে বিয়ের বাড়িতে ছিলো সাজ সাজ রব। চারপাশে ছিলো আনন্দ আর হৈ হল্লোড়। আকাশ থেকে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিলো। বিদ্যুতের লোডশেডিং আসা যাওয়ার খেলা চলছিলো। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কনের মা আরতি সরকার ঘর ঝাড়ু দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ঘর ঝাড়মুচ করছিলেন। এসময় হুট করে বিদ্যূৎ চলে আসায় অসাবধনতাবশত তিনি দরজার পাশে থাকা বিদ্যুতের তার স্পর্শ করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। পরিবারের অন্যান্যরা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কিন্তু কনে স্বর্ণাকে তখনও দেয়া হয়নি তার মায়ের মৃত্যুর খবর, বলা হয় তার মা সুস্থ। এই শান্তনা দিয়ে রাত ১০টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের কালিবাড়িতে তার বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। এদিকে এমন মর্মান্থিক মৃত্যুর ঘটনায় বিয়ে বাড়িতে আনন্দের বদলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।