সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

সভাপতি মতিউর, সম্পাদক মজিদ

নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি কাউন্সিল সম্পন্ন

ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে সৈয়দ মতিউর রহমান পেয়ারা সভাপতি এবং মজিদুর রহমান মজিদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার উপজেলার বাংলাবাজার জাঙ্গালিয়া মাঠে এই সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।


দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মোট ৯২৩ ভোটের মধ্যে ৮০৩টি ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।


সভাপতি পদে সৈয়দ মতিউর রহমান পেয়ারা ৪৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদ আহমদ পাঠান পেয়েছেন ৩১৬ ভোট।


সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৪৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. বয়েতুল্লাহ মিয়া। এই পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুশফিকুজ্জামান চৌধুরী নোমান পেয়েছেন ২০৩ ভোট এবং মো. খসরু চৌধুরী পেয়েছেন ১২৩ ভোট।


সাধারণ সম্পাদক পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মজিদুর রহমান মজিদ ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিহাব আহমদ চৌধুরী পেয়েছেন ৩৫৭ ভোট এবং মুরশেদ আহমদ পেয়েছেন ৩২ ভোট।


সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ৪০৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন অলিউর রহমান অলি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিউল আলম পেয়েছেন ২০৭ ভোট। এছাড়া, এই পদে আবুল খায়ের কায়েদ ১২৮ এবং হারুনুর রশিদ ৪৭ ভোট পেয়েছেন।


তবে, সাংগঠনিক সম্পাদক পদের ফলাফল নিয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এই পদে শাহিদ আলী তালুকদারকে ২৩৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে অপর প্রার্থী জামাল চৌধুরী আপত্তি জানান। পুনঃগণনার দাবি নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে এবং পাল্টাপাল্টি মিছিল শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মুদ্দত আলী সাংগঠনিক সম্পাদক পদের চূড়ান্ত ফলাফল হবিগঞ্জ জেলা থেকে ঘোষণা করা হবে বলে জানান এবং নির্বাচন কমিশন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এই পদে অন্য প্রার্থীরা ছিলেন সোহেল আহমদ চৌধুরী রিপন, নুরুল গনি চৌধুরী সোহেল এবং জাহান আহমদ।


এর আগে, সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মুদ্দত আলী। 

এছাড়া, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যক্ষ আজিজুল হক, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবুল ফজল এবং অ্যাডভোকেট গুলজার খান।

এই সম্পর্কিত আরো