মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

নবীগঞ্জে ডা. জাহিদ হোসেন

যারা ষড়যন্ত্র করছেন, হুমকি দিচ্ছেন, মনে রাখবেন বিএনপি জনগণের দল

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন তিন মাসের মধ্যেও সম্পন্ন হতে দেখেছি। কিন্তু বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের এক বছর সময় লাগানোর কোনো কারণ দেখছি না।  এই বিলম্ব কোন শুভ লক্ষন নয়। দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষনা করুন। আর না হয় বিএনপি বসে থাকবে না। 

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আপনারা ২০০৮ সালে সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেননি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেতো আগেই রাতে ভোট হয়ে গেছে। এবার সুষ্টু ভোটের ব্যবস্থা বর্তমান অন্তবর্তী সরকারকেই করতে হবে।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বিগত ৯ মাসে দেশের মধ্যে কিছু হলেই সব দোষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘাড়ে ছাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি গুম, খুন, মামলা হামালা নির্যাতনের শিকার হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তার বড় উদাহরণ আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তিনি পায়ে হেটে সুস্থ্য অবস্থায় জেলে গেলেন, যখন বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান, তখন ট্রেচারে করে যেতে হয়, বিনা অপরাধে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্ধি করে রাখা হয়েছে বছর পর বছর। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী মামলার শিকার হয়েছেন ভুলে গেলে হবে না।

আজ রবিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা গুলো বলেন। 

নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুন্ম আহবায়ক শিহাব আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ জি কে গৌছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিফতা সিদ্দিকী, বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া ও আমেরিকা শিকাগো বিএনপির সভাপতি শাহ মোজাম্মেল হক নান্টু প্রমূখ।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রতি শুধু বিস্বাস রাখলে হবে না। তারা এক বছরেও নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করতে পারিনি। আমাদেরকে আরও সচেতন থাকতে হবে। কেউ বলবে পিআর আর কেউ বলবে না। আমরা পিআর চাই না, আমার নেতা আমি নির্বাচন করবো। ভোট দিবো এক জায়গায় আর নেতা হবে আরেক জায়গায় এটা হয় না। অন্তবর্তী সরকারের আচরণ নিরপেক্ষ হতে হবে। কাজ দিয়ে নিরপেক্ষতা প্রমান করতে হবে। কারো পক্ষে থাকলে আমরা মানবো না।


ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, জিয়া পরিবারকে ধ¦ংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। এদেশের স্বাধীনতা ও সারভৌমত্বের চিন্তা করলে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া ও তার পরিবারকে অস্বীকার করা যাবেনা। এখনও জিয়া পরিবারকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদেরকে সর্তক থাকতে হবে। ওয়ান এলিভেন হয়েছিল জিয়া পরিবারকে সমুলে ধ্বংস করার জন্য কিন্তু কিছুই হয়নি।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কাঠাল রানী ষড়যন্ত্র করছেন, ভারত আওয়ামীলীগকে ক্ষমতার রাখার সকল চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এখন সেখানে বসে স্বৈরচারের দোসররা চেষ্টা করছে, সেটা রুখে দিতে হবে।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের মধ্যে এখনও স্বৈরাচার সরকারের দোসর ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে। আপনারা দয়া করে খোলস থেকে বেরিয়ে আসুন এবং জনগণের কাতারে দাঁয়িয়ে জনগণের জন্য কাজ করুন। নাহলে কেউ আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না’

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, অনেকেই জুলাই আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন, বড় বড় কথা বলছেন, অথছ জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগ বিএনপির নেতাকর্মী। আমাদেরকে ছোট করবেন না। কাট করতে যাবেন না। আমরাই আন্দোলনের আসল মাষ্টার মাউন্ড।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন,  বিগত সরকারে মন্ত্রী এমপি সচিবরা অনেকেই লুটপাট করেছেন, তারা বিদেশে বাড়ি ঘর গাড়ি করেছেন। কেউ আমেরিকা,কানাডা,লন্ডন ও মালয়েশিয়ায় প্লাট বাড়ি করেছেন, লুটের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন এসব ফিরিয়ে আনতে হবে।

ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, আগামীর নির্বাচন যাতে অংশগ্রহণমূলক হয় এবং জনগণ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টির দায়িত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, কোন দলের নেতার কথা দেশ চলবে না। দেশ পরিচালনা করবে জনগনের ভোটের নির্বাচিত সরকার। সবার ভোটের অধিকার সমান সেটা মনে রাখতে হবে। তাই আমরা সুষ্টু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য আমরা একবছর সময় দিয়েছি, আর নয়। এখন দেশে নির্বাচিত সরকার জরুরী দরকার।


বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ. জেড. এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে প্রতিরোধ বা থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কারো নেই। যারা ষড়যন্ত্র করছেন, হুমকি দিচ্ছেন, মনে রাখবেন বিএনপি জনগণের দল। 


অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ৭৫-এ সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্যে মেজর জিয়া এ দেশকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। জিয়াউর রহমান জন্মের পর থেকেই নিজেকে তৈরি দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। 

তার কালজয়ী দর্শনের সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী দল। তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান স্বাধীনতার ঘোষণা। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ বিএনপিকে প্রতিরোধ বা ষড়যন্ত্র করে থামিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা  কারো নেই। যারা ষড়যন্ত্র করছেন, হুমকি দিচ্ছেন, মনে রাখবেন বিএনপি জনগণের দল। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ করেছে।

এই সম্পর্কিত আরো