শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

দিরাই বিএনপিতে আ.লীগপন্থীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা বিএনপিতে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। দলীয় সিদ্ধান্ত ও সাংগঠনিক নীতিমালা উপেক্ষা করে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নেতৃত্বে আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় নেতারা।

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউনিয়নবাসীর পক্ষে জগদল ইউনিয়ন যুবদল নেতা মো. মুক্তাদির, ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মতি মিয়া ও নুরুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সুনামগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কলিম উদ্দিন মিলন এবং সাক্ষরক্ষমতা-প্রাপ্ত সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হকের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেনের কাছেও।

অভিযোগে বলা হয়, জগদল ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত সমুজ মিয়া অতীতে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ও বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তিনি একসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আবেদন করেছিলেন। তবে জেলা কমিটির জানুয়ারি মাসের বৈঠকে তার রাজনৈতিক অতীত, আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টতা এবং দলবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে আবেদনটি বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে বাতিল হয় রশিদ আহমদ চৌধুরী বাচ্চু ও সুজাত আহমদ চৌধুরীর আবেদনও। জেলা বিএনপির ১৬টি ইউনিটে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাইয়ে যাদের বাদ দেওয়া হয়, তাদের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার অভিযোগ ওঠে। এসব তথ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।

অভিযোগকারীদের দাবি, সমুজ মিয়াকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত জেলা ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনার সরাসরি লঙ্ঘন এবং সংগঠনের নীতিমালার পরিপন্থী। ৫ আগস্ট পর্যন্ত কোনো বিএনপির কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। বরং অতীতে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, যা এলাকাবাসীর কাছে সুপরিচিত।

তারা আরও অভিযোগ করেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক কবির মিয়ার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। এ ছাড়া রশিদ আহমদ বাচ্চু ও সুজাত আহমদ চৌধুরীও সম্প্রতি বিএনপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ ও মঞ্চে বসার সুযোগ পাচ্ছেন যা দলীয় সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন।

অভিযোগে যুগ্ম আহ্বায়ক কবির মিয়ার বিরুদ্ধেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়, তিনি নিজেও একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে।

অভিযোগকারীরা সমুজ মিয়াকে আহ্বায়ক পদ থেকে অপসারণ, বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত এবং গ্রহণযোগ্য কাউকে নতুন আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান।

এই সম্পর্কিত আরো