সিলেট নগরীর (কোতোয়ালী থানা) কানিশাইল এলাকায় ভূমি জালিয়াতি ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ চুনু মিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের আপন ভাই প্রবাসী মোঃ হারুন মিয়ার জমি দখল করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন যুক্তরাজ্য প্রবাসী হারুন মিয়া টাকা পাঠিয়ে তার ভাই চুনু মিয়াকে নিজ দেশে নিজের নামে ( হারুন মিয়ার নামে) জমি কেনার জন্য নির্দেশ দেন। চুনু মিয়া সিলেট সদর(কোতোয়ালী) এলাকাধীন বাগবাড়ী মৌজার এস.এ ১২৭৩ নং দাগের ০.০৩৪০ একর ভূমি ক্রয় করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, চুনু মিয়া জমি ক্রয়ের সময় কৌশল করে নিজের নামে এবং ভাই হারুন মিয়ার নামে জমি কিনে নেন। হারুন মিয়া দেশে ফিরে জানতে পারেন, জমির দলিলে চুনু মিয়া নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এতে বিরোধ তৈরি হলে স্থানীয় মুরুব্বিদের মধ্যস্থতায় আলোচনার মাধ্যমে চুনু মিয়া দানপত্রের মাধ্যমে নিজের নামে থাকা ০.০১৭০ একর জমি ফিরিয়ে দেন।
কিন্তু চুনু মিয়া, যিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের দল আওয়ামী লীগের নেতা বলে অভিযোগ রয়েছে, দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুনরায় হারুন মিয়ার জমি দখল করে নেন এবং দানপত্র অস্বীকার করেন। জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ তীব্র হলে মামলা দায়ের করা হয়। বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষাপটে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালিশকারী নিযুক্ত করেন। সালিশকারীরা উভয় পক্ষের দলিল-দস্তাবেজ যাচাই-বাছাই করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে মোঃ হারুন মিয়ার কাগজপত্র সঠিক এবং তিনি তফসিল বর্ণিত ভূমিতে ভোগদখল ও নিয়ন্ত্রণ সংরক্ষণ করতে পারবেন। সালিশের রায় অনুযায়ী হারুন মিয়া কিছুদিন জমি ভোগ করেন।তফসিল বর্ণিত ভূমি হলো- জেলা-সিলেট, থানা-সিলেট সদর (কোতোয়ালী), মৌজা-বাগবাড়ী, জে.এল নং এস,এ ৯০ ও বি,এস ৭৫ মহলে শামিমাবাদ স্থিত এস,এ ২৮৮ ও নামজারী-৩৯৭৭ ও ১০৩৪১ নং খতিয়ানের অন্তর্গত এস.এ ১২৭২ নং দাগের ০.০২ একর এবং এস,এ ১২৭৩ নং দাগের ০.০৭ একর ভূমি।
পরবর্তীতে জীবিকা নির্বাহের জন্য হারুন মিয়া পুনরায় যুক্তরাজ্যে চলে গেলে চুনু মিয়া আবারও জমি দখল করে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল হক দুই ভাইয়ের মধ্যে অতীতের সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন,থানায় বর্তমানে এ সংক্রান্ত কোনো নিবন্ধিত মামলা নেই। বিষয়টি আদালতের মামলার মধ্যে সীমাবদ্ধ।
মো: চুনু মিয়াকে ফোন করলে তিনি জানান যে তিনি গাড়িতে রয়েছেন, গাড়ি থেকে নেমে ফোন দিবেন। পরবর্তীতে তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা চুনু মিয়ার বিরুদ্ধে জালিয়াতি, জমি দখল ও দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।