হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও তিন দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) উপজেলা পরিষদ চত্বরে মেলার গেইটে ফিতা কেটে এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষনা করেন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া।
‘পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি’ স্লোগানে এ বছর এই কর্মসূচি দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাসহ দর্শনার্থীরা অংশ নেন।
শোভাযাত্রা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দরা বৃক্ষমেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এর পূর্বে উপজেলা পরিষদ চত্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দু’টি বৃক্ষ রোপণ করা হয় নিম ও লটকন গাছ। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মাহবুব আলম মাহবুব, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মাহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজনীন সুলতানা, সহকারী বন সংরক্ষক হবিগঞ্জ সিলেট বন বিভাগ মো: তারেক রহমান, কালেঙ্গা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান, রঘুনন্দন রেঞ্জ কর্মকর্তা এস এম এরশাদ, রশিদপুর বিট ফরেস্টার মোঃ রিজভী বিশ্বাস, বিট সহযোগী ছনবাড়ী বিট ফরেস্টার আব্দুল্লাহ আল-আমীন, ফরেস্টার বিট সহযোগী কালেঙ্গা বিট মোঃ রায়হান ইসলাম স্মরণ ও অন্যান্য স্টাফবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠিত বৃক্ষ মেলায় ৫টি স্টল অংশগ্রহণ করে- স্টলগুলো হল- সিলেট বন বিভাগ, রুজিনা নার্সারী, আল্লাহ নার্সারী, আদর্শ নার্সারী ও শারমিন নার্সারী। এ মেলায় ফল, ফুল ও কাঠ জাতীয় হাজারেরও অধিক গাছ উঠে। স্টলগুলো ঘুরে দেখা যায়; সেখানে রয়েছে দেশীয় বিভিন্ন ফলজ ও বাহারি ফুল গাছের সমাহার। আরও রয়েছে ঔষধি ও কাঠ জাতীয় বৃক্ষ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন- জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে আমাদের বিপুল পরিমানের গাছ লাগাতে হবে। সেই সাথে পরিবেশের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী ইউক্যালিপ্টাস এবং আকাশমণি গাছ নিধন করার উদ্যোগ নিতে হবে। সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহিদুল ইসলাম বলেন- ইউকিলিপটাস ও আকাশমণি গাছ সরকার ইতিমধ্যে নিষেধ করে দিয়েছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে ও এটা নিষিদ্ধ। অতিরিক্ত পানি শোষণ এবং গাছের ডালা পালা থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর এসিড মাটির গুনাগন নষ্ট করে দেয় যা পরিবেশের অনান্য বৃক্ষের বেড়ে উঠা’র অনুপযোগী। দ্রুত এই গাছ বনায়ন বন্ধ করতে হবে।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সারাবছর অব্যাবহত থাকবে এবং বৃক্ষমেলা ৩ দিন চলমান থাকবে।