সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুবিধপুর নামক স্হানে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় খাইরুল ইসলাম (২২) নামের মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।আহত হয়েছেন মোটরসাইকেল আরোহী রাজন মিয়া (২০) ও হৃদয় মিয়া(২১)।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ১১ টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খায়রুল ইসলামের মৃত্যু হয়। অন্য আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত খায়রুল ইসলাম রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের এমদাদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার(২৩ জুলাই) বিকেলে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধুদের সাথে ঘুড়তে বের হন নিহত খাইরুল ইসলাম। সন্ধ্যা ৬টায় সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের রানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুবিধপুর পয়েন্টে বিপরিত দিক থেকে আসা অন্য আরেকটি মোটরসাইকেল এর সঙ্গে প্রচন্ড গতিতে ধাক্কা লাগে। এতে খাইরুল ইসলাম(২২) ও তাঁর বন্ধু রাজন মিয়া (২০) এবং হৃদয় মিয়া (২১) গুরুতর আহন হন।
পরে স্থানীয়রা তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১ টায় খাইরুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
নিহতের চাচা হাজী এখলাছুর রহমান আখলই বলেন,নিহত খাইরুল তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছিল। ঘটনাস্থলে অপর দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ধাক্কা দিয়ে ওই মোটরসাইকেলের চালক পালিয়ে গেছে। খাইরুলের বন্ধুদের অবস্থাও গুরুতর। তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূইয়া বলেন, ওই যুবক সিলেট এম এ জি ওসমানী কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।