ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর প্রাণীপ্রেম নতুন কিছু নয়। নিজের পালিত কুকুরকে সন্তানসম ভালোবাসা দেওয়া নিয়ে বহুবার শিরোনামে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার তার জীবনযাত্রায় এসেছে এক অভিনব পরিবর্তন। কেবল অনুভূতির জায়গা থেকে নয়, প্রাণীদের প্রতি মমতার কারণে তিনি একে একে বিদায় জানাচ্ছেন মাছ-মাংসের মতো প্রিয় খাবারও। শুধু তাই নয়, আত্মিক প্রশান্তির খোঁজে তিনি এখন আরও বেশি করে মনোযোগী হয়েছেন ধর্মীয় রীতিনীতির চর্চায়। এক সময়ের স্টাইল আইকন এখন যেন হয়ে উঠছেন অন্তর্জগতের সন্ধানী।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, টলিউড জানে মিমির শিবভক্তির কথা। পশুপ্রেম এবং স্রষ্টাভক্তির কারণে তিনি আমিষ খাবার ছেড়েছেন। মিমি মাছ, মাংস খান না। তার বাড়িতেও শিব লিঙ্গ রয়েছে। প্রতি শিবরাত্রিতে সেখানে পূজা দেন।পাশাপাশি, মন্দিরেও যান। এ ছাড়া, তার হাতে রয়েছে নৃত্যরত নটরাজের উল্কি।
এছাড়া পুরাণ অনুযায়ী, শ্রাবণ মাসকে বলা হয় শিবের মাস। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, যারা শিবের ভক্ত তারা সোমবার শিবলিঙ্গে জল ঢেলে পূজা করেন এবং নিরামিষ খান। পুরো শ্রাবণ মাসজুড়ে যারা প্রতি দিন পূজা করতে পারেন না তারা অন্তত শ্রাবণ মাসের চারটি সোমবার নিয়ম পালনের চেষ্টা করেন।
শ্রাবণ মাস শুরু হওয়ার আগেই সোমবারে মন্দিরে গিয়ে শিব পূজা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। সাদা সালোয়ার-কামিজ পরে মন্দিরে গিয়েছিলেন এই নায়িকা। রঙিন ফুলের গুচ্ছ। এ দিন তিনি নিষ্ঠাভরে শিবলিঙ্গ দুধ দিয়ে গোসল করান। শিবলিঙ্গ সাজিয়ে দেন ধুতরা ফুলে। এবং পাঁচ রকম ফল দান করেন দেবতার উদ্দেশ্যে।
এ বিষয়ে মিমি ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার খুব ভালো দিন মন্দিরে যাওয়ার জন্য। অনেক দিন পর ছুটি পেয়েছি। তাই জন্য গিয়ে পুজো দিয়ে এলাম। শুটিং থাকলে তখন যেতে পারি না। তাই আজকে সকালে গিয়েই কসবার মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছি।
বর্তমানে মিমি ব্যস্ত হয়ে রয়েছেন ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’-এর শুটিং নিয়ে। কিছুদিন আগে লাভার আউটডোরে শুটিং সেরে ফিরেছেন এই অভিনেত্রী। এখন শহরে এই ছবির শুটিং চলছে। তার আগে ‘রক্তবীজ টু’ ছবির শুটিং করার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন মিমি। এবারের দুর্গাপূজাতে সেই ছবি মুক্তি পাবে। ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবিটাও মুক্তি পাবে এই বছর ডিসেম্বরে।