সুনামগঞ্জে ৩দিনব্যাপী গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা মঙ্গলবার সম্পন্ন হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামের মাঠে এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাহারী নামের ও নানা রঙের ১৭৫ টি ঘোড়া নিয়ে মেলায় আসেন ঘোড় সওয়ারী।
খেলা উপভোগ করতে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষসহ নানা বয়সী কয়েক হাজার দর্শক। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় উৎসবে মেতে ওঠেন তাঁরা।
মেলার আয়োজকরা জানান, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৭৫ টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এবং ঘোড়ার সাথে রয়েছেন একজন করে সওয়ারী। খেলায় পুরস্কার হিসেবে রয়েছে টিভি, খাশি, ছাতা, কলসসহ বিভিন্ন পণ্য। শীতের আমেজে মিষ্টি প্রখর রোদে বিসৃত মাঠে গোল হয়ে খেলা উপভোগ করেন হাজার হাজার দর্শক।
মেলায় বিভিন্ন নামে ঘোড়া নিয়ে এসেছেন ঘোড়ার মালিকগণ। ঘোড়ার নামেও রয়েছে মর্মার্থ। বাদশা, হিরো আলম, জায়েদ খান, রকি মাস্তান,খান বাহাদুরসহ বিভিন্ন রকমের বাহারী নাম রয়েছে ঘোড়ার।
ঐতিহ্যবাহী এ ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন স্থানীয় আলমপুর গ্রামের সৌখিন যুবক ও মুরব্বীরা। মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শিক্ষক আবুল হাছনাত বলেন, কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলা নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করাতেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন। আগামীতে এরকম আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মেলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম বলেন, যুব সমাজকে বিপথগামীতা থেকে ফেরাতে গ্রাম এলাকায় ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাসহ নানা খেলাধুলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। চিত্তবিনোদনের জন্য প্রতি বছর এই মেলার আয়োজন করা হয়।
আয়োজক স্থানীয় ইউপি সদস্য আলিম উদ্দীন বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলা হলো ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। প্রতি বছর মেলার আয়োজন করে থাকি আমরা। ঘোড়দৌড় মেলায় হাজার হাজার দর্শকের উপস্হিতিতে মাঠে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে। আাগামিতে আরো বড় পরিসরে খেলার আয়োজন করা হবে।
এদিকে এ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে মেলার মাঠে বসে অসংখ্য দোকানপাট। এসব দোকানে শিশুদের খেলনাসহ সকল বয়সী নারী-পুরুষের জন্য রয়েছে নানা পণ্য। সব মিলিয়ে আনন্দে-উৎসবে শেষ হয় মেলা।