সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএসসি নার্সিংয়ের সমুদয় পরীক্ষা তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত।
পূর্বের আদেশ অনুযায়ী আনোয়ারা-মুজাহিদ নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়ায় মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত উচ্চআদালত বেঞ্চ এ স্থগিতাদেশ দেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) থেকে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ১০ নার্সিং কলেজের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আদালতে আনোয়ারা-মুজাহিদ নার্সিং কলেজের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম হাসান।
তিনি জানান, এ নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন ১০ নার্সিং কলেজের পরীক্ষা স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত। এর আগে, গত ২০শে মে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনসহ সমুদয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে তাদের পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ দেন উচচ আদালত। কিন্তু সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে ফেলেন।
তিনি আরও জানান, পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী আগামীকাল (বুধবার) থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তাঁরা আদালতে বিষয়টি তুলে ধরলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, আনোয়ারা-মুজাহিদ নার্সিং কলেজের ২০ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন এবং পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ গত একবছর সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলেনি। বরং দফায় দফায় চিঠি চালাচালিতে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। উপায়ান্তর না দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়।
পরবর্তীতে গত মে মাসে উচ্চ আদালত বিষয়টির যৌক্তিক সমাধানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদেরকে জরুরিভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশনসহ প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে নির্দেশ নেন।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারির রেজিস্ট্রার এবং সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার, অ্যাসিস্ট্যাট রেজিস্ট্রার ও কলেজ পরিদর্শককে হাইকোর্টের ওই আদেশ তামিল করার কথা বলা হয়। কিন্তু আদালতের সেই আদেশ বাস্তবায়ন না করেই বুধবার পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।