সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সিরিয়া গ্রামে গত ১০ মে এক নৃশংস গ্যাং হামলার শিকার হন স্থানীয় বিএনপির সাবেক ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি মানিক মিয়া। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন তাঁর তিন ভাই। পরদিন ১১ মে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ভাই লইলুস মিয়া মারা যান। গত ১৩ মে একটি হত্যা মামলা হলেও আজ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
নিহতের পরিবার বলছে, অভিযুক্তরা এখনো এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছে। মানিক মিয়ার ছেলে সজীব সুমনের ভাষ্য, "হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিলে অংশ নিচ্ছে, আমাদের উল্টো হয়রানি করছে মিথ্যা মামলায়।"
নিহত লইলুস মিয়ার ছেলে মারুফ মিয়া বলেন, "বাবার কারো সাথে কোনো বিরোধ ছিল না। চাচাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। পরিবার এখন অসহায়।"
এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী সাংবাদিক ও মানিক মিয়ার ভাগ্নে আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, "গত বছর ইউনুস গ্যাং-এর সদস্য ফেরদৌস আলম আরাফাত আমার কাছে ‘ডোনেশন’-এর নামে চাঁদা দাবি করে। কিন্তু আমি তা দিইনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই গ্যাং আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা এখন চাঁদাবাজি, অবৈধ জুয়া ও জমি দখলের মতো অপরাধে জড়িত।
একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি এই গ্যাংয়ের অপরাধ অনুসন্ধান করতে শুরু করি। তদন্তের সময় তারা বুঝে ফেলে.এবং সন্দেহ করে যে আমার ফুফাতো ভাইও এই কাজে জড়িত। তখন থেকেই তারা আমাদের পরিবারকে হুমকি দিতে শুরু করে।
১০ মে ২০২৫, তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ফুফুর স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায়। বালাগঞ্জ থানার পাশেই, জনসম্মুখে এই হামলা চালানো হয় — কারণ তারা কারো ভয় করে না। তারা চায় সবাই বুঝুক যে তাদের পেছনে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তি আছে।"
বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া জানান, "অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।"
এদিকে হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পরও খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন গ্যাং হামলার শিকার এই পরিবার।