সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার জাফলংয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ওবায়দুল্লাহর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সাধারণ শ্রমিকরা। অভিযোগ উঠেছে সিলেট জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্নীতিবাজ ওই কর্মকর্তা। এসআই ওবায়দুল্লাহ’র বাড়ি কিশোরগঞ্জ এলাকায় থাকায় তিনি অতিরিক্ত প্রভাব খাটিয়ে জাফলং এলাকায় বালি, পাথর ও চোরাকারবারীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। ২৪ জুন ওবায়দুল্লার চাঁদাবাজি নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করায় ট্রাক-শ্রমিক সভাপতি ছমেদকে পরদিন সকালে কারাগারে যেতে হয়েছে। তবে শ্রমিক নেতা ছমেদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে জাফলং এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকলেও গ্রেফতার করেননি জাফলং বিটের কর্মকর্তা এসআই ওবায়দুল্লাহ। তাছাড়া ওবায়দুল্লাহর চাঁদাবাজি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। সরকার পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করলেও ওবায়দুল্লাহ জাফলংয়ে রাতের আঁধারে বালি-পাথর উত্তোলনকারীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। শ্রমিকরা যখন পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তখন তিনি নিজেই একটি পাথরখেকো চক্রকে প্রতি ফুট ১০ টাকা চাঁদা দেয়ার বিনিময়ে পাথর তুলার অনুমতি দেন। যারা প্রতি ফুট পাথরে ১০ টাকা চাঁদা দেন, তাদের গোপনে পাথর তুলতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন পাথর শ্রমিকরা। জাফলং পিকনিক সেন্টার ওবায়দুল্লাহ সাপ্তাহিক টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে। ওবায়দুল্লাহর সাথে রয়েছে চোরকারবারী ও স্থানীয় চাঁদাবাজদের গভীর সখ্যতা। যার কারণে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন সীমান্ত হয়ে জাফলং দিয়ে অবাধে চোরাচালানের মালামাল পরিবহণ হয়ে থাকে। তার বিনিময়ে চোরাকারাবারীদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নেন ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওবায়দুল্লাহ ওই এলাকার চোরকারাবাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে চাঁদা আদায় করেন।
গোয়াইনঘাট থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ওবায়দুল্লাহর ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। গোয়াইনঘাট এলাকায় তার যা খুশি তাই করে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, এটি এসআই ওবায়দুল্লাই ভালো জানেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীকে আমার কাছে অভিযোগ দিতে বলেন।
সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান বলেন, আমি এসআই ওবায়দুল্লাহর ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।