মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

পরীক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি আহত ১০, পরীক্ষা দিতে পারেনি ৫

নবীগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে জনতার বাজার বিরোধকে কেন্দ্র করে দিনারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ঘে ১০ জন আহত হয়েছে। পরীক্ষা দিতে পারেননি ৫জন ছাত্র এনিয়ে উভয় পক্ষ স্খুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার জনতার বাজার নিয়ে উত্তর গজনাইপুর ও দক্ষিন গজনাইপুর গ্রামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। গত শনিবারে মামলার আসামি গ্রেফতার নিয়ে দক্ষিন গজনাইপুরে পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়। রবিবার দুপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১৩ জনকে আটক করা হয় । এনিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। দুই গ্রামের লোকজন পাল্টাপাল্টি পোষ্ট ফেসবুকে করে আসছিলেন।

এর জের ধরে গতকাল সোমবার সকালে দিনারপুর হাই স্কুলে দক্ষিন গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র রাহেল আহমদ, তাহমিদ মিয়া, সাদিয়া আহমদ,জাহিদ আহমদ ও রিয়াদ পরীক্ষা দিতে আসলে তাদের সাথে উত্তর গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র শুভ , মিজান, ফাহাদ কথা কাটাকাটি করেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সুত্র পাত হয় এসময় দুই গ্রামের মানুষ এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। আইন শৃংখলা বাহিনী সংঘর্ষ থামান।

এরপরে দক্ষিন গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র রাহেল আহমদ, তাহমিদ মিয়া, সাদিয়া আহমদ,জাহিদ আহমদ ও রিয়াদকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ডুকতে দেয়নি উত্তর গজনাইপুর গ্রামের লোকজন। তারা এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিনার পুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিকট প্রদান করেন।

অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন জনৈক আলতাব মিয়া গংরা তাদের বাঁধা ও মারপিট করেছেন। পরে উত্তর গজনাইপুর গ্রামের ছাত্র শুভ , মিজান, ফাহাদ তারাও লিখিত অভিযোগে করেন। জনতার বাজার ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা তারা ফেসবুক পোষ্ট করারর জন্য দক্ষিন গজনাইপুরের ছাত্ররা তাদের উপর হামলা ও মারপিট করে আহত করেছে। কিন্তু তারা আহত অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।

এব্যাপারে দিনার পুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন তালুকদার উভয় পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন কয়েকজন ছাত্র পরীক্ষার অংশ নেয়নি কেন তদন্ত করে বলতে হবে।

এই সম্পর্কিত আরো