শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

আ.লীগ আমলে তিন জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে কমিটি গঠন

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিনটি (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তে সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিকে ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সুপারিশ করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি শামীম হাসনাইনকে। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব শামীম আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক, আইনজীবী তাজরিয়ান আকরাম হোসাইন এবং নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল আলীম।


আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়। কমিটিকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে। কমিটি তদন্তের প্রয়োজনে আরও সদস্য নিতে পারবে (কো-অপ্ট)।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই তিনটি নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এসব নির্বাচনে নানা কৌশলে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ভূলুণ্ঠিত করে সাজানো প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে তা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগও এসব নির্বাচন পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে। এতে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র এবং মৌলিক মানবাধিকার বিপন্ন হয়েছে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয় এমন প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে, দেশে গণতন্ত্র সুরক্ষিত এবং ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের আশঙ্কাকে প্রতিহত করতে এসব নির্বাচনে সংঘটিত দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


কমিটির কার্যপরিধি

তদন্ত কমিটি ২০১৪,২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোর বিষয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক, দেশি ও বিদেশি তদারকি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সংগঠনের প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগ বিশ্লেষণ, নির্বাচনের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এবং সার্বিকভাবে এগুলোর নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ ও বিশ্লেষণ করবে।

এ ছাড়াও এসব নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ সীমাবদ্ধ করতে ও জনগণের ভোটাধিকার প্রদান বাধাগ্রস্ত করতে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল ও সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা বিশ্লেষণ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ও এর সচিবালয় ও প্রশাসনের ভূমিকা বিশ্লেষণ, নির্বাচন কার্যক্রমে আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা বিশ্লেষণ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনগুলোর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগগুলো যাচাই, অনিয়মের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে সব নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে আইন, বিধিবিধান, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনিক আয়োজনের কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা, পরিবর্তন ও রূপরেখা বিষয়ে সুপারিশ দেবে।

এই সম্পর্কিত আরো