বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান, এসইউপি এমডি মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন বলেছেন, চা শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে বাগানের উন্নয়নে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরী তাদেরকে পরিশোধ করতে হবে। চা শ্রমিকরা বাগানে কাজ করে তারা যে অর্থ উপার্জন করেন, তা দিয়ে তাদের সংসার চলে। তাই মালিকপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে তাদের বেতন বকেয়া না রাখা হয়। শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাগানে কাজ করার মাধ্যমে আপনাদের জীবিকা চলে। তাই আপনারা মালিকপক্ষের কথা বিবেচনা করে বাগানে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করবেন। আপনাদের দ্বারা উৎপাদনকৃত চা- মালিকপক্ষ বিক্রি করে একদিকে যেমন আপনাদের পরিবার চলবে অন্যদিকে মালিকপক্ষ লাভবান হবেন।
তিনি বলেন, চা শিল্পের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই চা সেক্টরে যত ধরনের সমস্যা আছে সেগুলো অতিশীঘ্রই সমাধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস ছোট ছোট যত ধরনের সমস্যা আছে আমরা সবাই মিলে কাজ করলে এটা সমাধান করা সম্ভব। এতে করে বাগানের সাথে যারা জড়িত আছেন তারাও উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, যদি শ্রমিক কল্যাণ ব্যাহত হয়, তাহলে বাগানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আমরা দিধাবোধ করবো না। বাগান মালিকদের কাছে আমার আহ্বান তারা যেন চা শ্রমিকদের কল্যাণে আরো ভালো পদক্ষেপন নেন। এতে করে শ্রমিকদের উন্নয়ন ও বাগানের সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব।
তিনি বুধবার (২৫ জুন) শহরতলীর বড়শালা এলাকায় সিলেট ক্লাব লিমিটেডের হলরুমে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের আয়োজনে সিলেট অঞ্চলের চা বাগানসমূহের অংশীজনের সাথে "বাংলাদেশ চা শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও উন্নয়নে গৃহিত পদক্ষেপ” বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
চায়ের দাম বৃদ্ধি করায় সিলেট চা বাগান মালিক ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান কে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, আফজল রশীদ চৌধুরী, এম. এ. জামান সুহেল, আতিকুর রহমান, রিংকু চক্রবর্তী, মো. শাহাবুল্লাহ সরকার, মহসীন রেজা ইশতিয়াক, নোমান হায়দার চৌধুরী, মুফতি মো. হান্নান, মো. তাসলিম হোসাইন, মো. কামরুজ্জামান, মো. মুজিবুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. জহিরুল হক, শাহ মো. আব্দুল হালিম, মো. মুছলেহ উদ্দিন, এ এস এম সাইফুল হাসান।