জৈন্তাপুরে অভিনব কায়দায় কৃষক সেজে ধর্ষণ মামলার ২ আসামি মুমিন মিয়া (৩০) ও বদরুল ইসলামকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।সোমবার (২৩ জুন) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার (২২ জুন) দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া মুমিন মিয়া জৈন্তাপুরের দরবস্ত ফান্দু গ্রামের ও তার সহযোগী বদরুল ইসলাম করগ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারীর বাড়ি গোয়াইনঘাট উপজেলায়। ধর্ষণকারী মুমিন মিয়া তার প্রাক্তন স্বামী। তাদের দুজনের ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ৭ মাস আগে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর পর গত শনিবার (২১ জুন) ভুক্তভোগী নারী তার ছেলেকে নিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডাক্তার দেখানোর জন্য দরবস্ত বাজারে যান। সেখানে তার প্রাক্তন স্বামী মুমিন জরুরি কথা আছে বলে তাদের ছেলেকে একটি মিশুক গাড়িতে তুলে নানা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে অন্য একটি গাড়িতে ওই নারীকে দরবস্ত ইউনিয়নের খড়িকাপুঞ্জি গ্রামের মাসুম মিয়ার পরিত্যক্ত গরুর খামারে নিয়ে যান। সেখানে মুমনি ও তার দুই সহযোগী। দুপুর দেড়টা থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাকে আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। পরে তিনি গভীর রাতে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরদিন রোববার জৈন্তাপুর মডেল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিলে, পুলিশ তার ভাষ্য নিয়ে ধর্ষণ মামলা করে তিন ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু পুলিশের অভিযান টের পেয়ে ধর্ষণকারী তিনজনই গা-ঢাকা দেন। শেষে পুলিশ কৃষক সেজে মুমিনসহ দুজনকে গ্রেফতার করে।
অভিযানসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানায়, মুমিন যেভাবে তার স্ত্রীকে কথা আছে বলে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছিল, কৃষক সাজা পুলিশও একই কৌশলে ‘কথা আছে’ কাজে টেনে নিয়ে পাকড়াও করেছে।
জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'রোববার ভিকটিম নারী থানায় উপস্থিত হয়ে মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাৎক্ষণিক কৃষকবেশে মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত অপর ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ভিকটিম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।'