আব্দুল খালিক পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন কাব ও স্কাউটসের একজন সুপরিচিত প্রশিক্ষক। তিনি ২০০৬সালে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কাবশিক্ষক ও ২০০৭সালে বহরগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কাবদলের মর্যাদা লাভ করে ভূয়শী প্রসংশা অজন করেন।
আব্দুল খালিক স্যার ছিলেন শিক্ষার্থীদের কাছে একজন জনপ্রিয় শিক্ষক। তিনি শিক্ষকতা জীবনে কোমলমতি শিশুদেরকে স্নেহ আর মমতা দিয়ে আপন করে নিতেন। তারঁ মহান ত্যাগ অনেক পথহারা শিশু পেয়েছে আলোর দিশারী।
তিনি হলেন বুধবারী বাজার ইউনিয়নের সালিশ ব্যক্তিত্ব মরহুম হাজী আনফর আলীর ছেলে শিক্ষক আব্দুল খালিক। তিনি বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা জীবনে ছিলেন একজন মানবতার ফেরিওয়ালা, জাতি গড়ার কারিগর, কাব ও স্কাউটস ব্যক্তিত্ব। তাঁর ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ্যনাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
শিক্ষকতার মহান পেশায় আব্দুল খালিক স্যার ছিলেন একজন ন্যায় পরায়ন, একজন প্রতিবাদী, সত্যনিষ্ঠ ও মানবতার ফেরিওয়ালা। বিশেষ করে অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে তিনি সবসময় ছায়া হয়ে পিতার ন্যায় ভূমিকা পালন করতেন। তাঁর সততা আর মহান ত্যাগের মহিমায় তিনি সমাজে একজন সমাদৃত এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে বেঁচে আছেন। আব্দুল খালেক স্যারের মতো একজন প্রাণবন্ত উচ্ছ্বসিত, সহজ সরল ও নিবেদিত শিক্ষক বর্তমান সময়ে খুঁজে পাওয়া খুবই বিরল। তিনি শিক্ষকতা পেশায় যেমন সুনাম অর্জ করেছিলেন তেমনি স্কাউটিং এ তারঁ বিশাল সুপরিচিতি রয়েছে।
তিনি শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করার পর থেকে নিজেকে সবসময় নিবেদিত ও উজাড় করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর সময় কাটাচ্ছেন বিভিন্ন স্কাউটস প্রোগ্রাম ও সমাজের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে।
তিনি প্রথম শিক্ষকতা শুরু করেন ১৯৮১ সালে বুধবারে বাজার ইউনিয়নের
জালালাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনির পিতার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠাকালিন শিক্ষক হিসেবে । এরপর তিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাগিরঘাট-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কালিজুরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৯৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বহরগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি একই ইউনিয়নের হাজিপুর-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষকতা পেশা সমাপ্ত করে অবসর গ্রহণ করেন।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি স্কাউটিং এর সাথে খুব নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে কাব লিডার বেসিক কোর্স, ২০০০ সালে এডভান্স কোর্স ২০০২ সালে স্কিল কোর্স সম্পূর্ণ করেন।
তিনি ২০০৫ সালে কাবে এবং ২০০৭ সালে স্কাউটসে উডব্যাজ লাভ করেন। ২০২১ সালে তিনি কুশিয়ারা মুক্তদল স্কাউট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কুশিয়ারা মুক্তদল স্কাউটের একজন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
ব্যক্তিগত জীবনে আব্দুল খালেক স্যার দুই মে ও এক পুত্র সন্তানের জনক।
ছেলে আব্দুল আব্দুল মুহাইমিন সুমন, মেয়ে শারমিন সুলতানা শিরিন ও সাদিয়া সুলতানা চাঁদনী তিনজনেই ফিনল্যান্ডে ও লন্ডনে পিএইচডি ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত। স্ত্রী ফাতেমা বেগম কালিজুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।