সম্প্রীতি চোরের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ শান্তিগঞ্জ বাজারসহ আশপাশের এলাকাবাসী৷ প্রতিদিনই ঘটছে চুরির ঘটনা৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই চিকছে চুরির ঘটনা করে যাচ্ছে তারা। সর্বশেষ গতকাল শান্তিগঞ্জ থানা সংলগ্ন বাসা থেকে সিএনজির ব্যাটারী চুরির করার সময় তাদের হাতেনাতে ধরে থানায় সোপর্দ করা হয়। পড়ে তারা কিশোর হওয়ায় ও তাদের পরিবারের অনুরোধে এবং মুচলেকা দিয়ে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয় থানা পুলিশ৷ এরই মধ্যে এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন শান্তিগঞ্জ এলাকার মৃত রইছ মিয়ার ছেলে পিয়ার হোসেন।
তিনি জানান, গতকাল রাতে ওই দুই কিশোরসহ ৪ জন আমাদের বাসার সামনে থাকা সিএনজির ব্যাটারী চুরি করতে আসে৷ আমরা বিষয়টি বুঝতে পেরে শান্তিগঞ্জ বাজার কমিটিকে সাথে নিয়ে তাদের হাতেনাতে ধরে থানায় সোপর্দ করি। শুনেছি পড়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। এরআগে আমার বাসা থেকে ১০ টি মুরগী, ১টি গরু ও একটি মোবাইল চুরি হয়৷
উপজেলা সদর এলাকায় বারবার চুরি ঘটনায় এই কিশোরদের নাম আসছে৷ তাদের চুরি থেকে বাসাবাড়ির মুরগী, কবুতর পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। যা পাচ্ছে তাই চুরি করছে তারা৷ মানুষের কাছে তারা নতুন এক আতঙ্কের নাম৷ কিশোরদ্বয় তানভীর ওরফে বল্টু ও সাজুল মিয়া সহ তাদের গ্যাংদের এই আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন শান্তিগঞ্জ বাজার কমিটিসহ স্থানীয়রা৷
সচেতন মহলের মতে, এই চুরির সাথে শুধু এই কিশোররাই নয় আরও বড় চুররা জড়িত আছে। তাদের মাধ্যমেই এই কিশোররা এসব কাজ করছে। আমাদের দাবী দ্রুত এর সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে কথা হলে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো. আকরাম আলী বলেন, দুই কিশোর চোরকে থানায় দিয়েছিলেন ভুক্তভোগীরা৷ তাদের বয়স না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা সম্ভব হয়নি। পড়ে পরিবারের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তারা আমাদের অবজারভেশনে আছে। তাদের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখছি এবং পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।