বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

কুলাউড়ায় প্রতিবন্ধী শিশু গোপালকে বেবি ওয়াকার প্রদান

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু গোপাল সাওতালকে সাপ্তাহিক সীমান্তের ডাক পরিবারের পক্ষ থেকে একটি বেবি ওয়াকার প্রদান করা হয়েছে। 


মঙ্গলবার (১৭জুন) কুলাউড়া পৌর শহরের দক্ষিণবাজার এলাকায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদ এনাম অসুস্থ শিশু গোপালকে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সীমান্তের ডাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ শিশুটিকে তাঁর মা বাবাসহ চেম্বারে নিয়ে আসেন। সেখানেই গোপালকে বেবি ওয়াকার প্রদান করা হয়।


ডা. সাঈদ এনাম প্রাথমিক চেকআপ করে কয়েকটি ব্যয়বহুল টেস্ট নিজ উদ্যোগে করে দেওয়ার কথা জানান এবং মাটির গর্তে শিশু গোপালকে আর না রাখার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষণিক সহায়তার জন্য একটি নতুন মিউজিক বেবি ওয়াকার কিনে নিয়ে এগিয়ে আসে সীমান্তের ডাক পত্রিকা পরিবার। 


বেবি ওয়াকার প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাঈদ এনাম, সিনিয়র সাংবাদিক যুগান্তর প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম, আদিবাসী নেত্রী ফ্লোরা বাবলি তালাং, সীমান্তের ডাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ, বার্তা সম্পাদক তারেক হাসান, স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল বারী সোহেল, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি মাহফুজ শাকিল, সমকাল প্রতিনিধি আশফাক তানভীর, কালবেলা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন রিপন ও প্রতিবন্ধী শিশু গোপালের বাবা অনিল সাওতাল, মা সনচড়ি সাওতাল।


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা মুরইছড়ায় সীমান্তের ডাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সঞ্জয় দেবনাথ ঘুরতে গেলে সেখানে শারিরীক প্রতিবন্ধী শিশু গোপালকে মাটির গর্তে রাখার বিষয়টি নজরে আসে। তিনি এই মানবিক বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রথমে তোলে ধরেন। প্রতিবেদনের পর উপজেলা প্রশাসন সমাজসেবা অফিসে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যার কার্ড ১৬ জুন সোমবার ইউএনও মুরইছড়া চা বাগানে গিয়ে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। 

পরবর্তীতে ফেসবুক, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হবার সুবাদে ফিজিওথেরাপিস্টরাও চিকিৎসা প্রদান করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির সুস্থতা নির্ভর করবে সঠিক ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে। আর তা দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। যাতে শিশুটির চিকিৎসা কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত না হয়। পাশাপাশি শিশুর বিষয়ে আশ্বাস প্রদানকারী সরকারি/বেসরকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রমসহ চিকিৎসাসেবা ফলোআপ, মনিটরিং, পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে।

এই সম্পর্কিত আরো