ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবন থেকে মাদকদ্রব্যকে উৎখাত এবং মাদকাসক্তি নির্মূল করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি মানুষের বিবেক ও মূল্যবোধের জাগরণ, সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক উদ্ভুদ্ধ করণ সহ সামাজিক আন্দোলনের উদ্দেশ্যে মাদক প্রতিরোধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে উত্তর কামলাবাজ, শরৎপুর, গুলেরহাটি, হাফেজনগর, পাড়াতুলাবাসীর উদ্যোগে শরৎপুর গ্রামে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর কামলাবাজ গ্রামের প্রবীণ মুরব্বি আব্দুল মোতালিব। যুবদল নেতা এমদাদুর রহমান হীরণের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, হাজী মিছির আলী, সীতেশ রায় চৌধুরী, মোঃ ফজলুল হক, আনোয়ার আলী, নয়ন দেবনাথ, খন্দকার মজিবুর রহমান, আব্দুল জব্বার মিয়া, সিদ্দিক আলী, মোঃ রহিম আলী, মোঃ জয়নাল আবেদীন বাদশা, আবু জাহের মিয়া, আবুল কালাম কালা মিয়া, বাদশা মিয়া, সোহেল আহমদ বাচ্চু, খন্দকার শহীদুল ইসলাম, মোঃ মানিক মিয়া, খন্দকার ইনসান আহমেদ মনির, আবু সুফিয়ান, মুক্তার হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও গ্রামের মুরব্বি, ছাত্র, যুবক সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তাগণ বলেন, মাদকাসক্তরা শুধু নিজের মেধা এবং জীবন শক্তিই ধ্বংস করে না। তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছে নানা ভাবে। যে সব পরিবারে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি রয়েছে সে সব পরিবার আজ ধ্বংসের মুখে রয়েছে। জীবন বিধ্বংসী মরণ নেশার কবলে পড়ে অসংখ্য তরুণদের সম্ভাবনার জীবন তিলে তিলে ধ্বংস হচ্ছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি বিবেক-বুদ্ধি, বিচার-ক্ষমতা, নৈতিকতা, ব্যক্তিত্ব, আর্দশ সব কিছু খেয়ে ফেলে। সকল ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় আইনে মাদককে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এব্যাপার জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, যুব সমাজ আজ মদ, গাজা, ইয়াবা আসক্ত হয়ে পড়েছে। মাদকের কারণে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি এই থানায় যোগদান করার পর মদ, গাজা, ইয়াবা এবং চোরাকারবারির ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনা করেছি। মাদক এবং চোরাকারবারির সঙ্গে কোন আপোষ নেই। শুধু পুলিশ দিয়ে সমাজ থেকে মাদকের প্রবণতা দূর করা যায় না। এজন্য সমাজের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করে জামালগঞ্জকে মাদক মুক্ত করতে হবে।
সভায় ১৫ সদস্য বিশিষ্ট মদ, জুয়া ও গাজা বিরোধী একটি কমিটি গঠন করা হয়।