বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

চারদিনের মধ্যে জকিগঞ্জের বেড়িবাঁধ মেরামত না করলে দুর্বার আন্দোলন

জকিগঞ্জের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন। আগামী ৪ দিনের মধ্যে ভাঙা বেড়িবাঁধগুলো জরুরি মেরামতের ব্যবস্থা না করলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।

বিগত কয়েক বছর থেকে সুরমা-কুশিয়ারা নদীতে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে একদিকে দেশের মানচিত্র ছোট হচ্ছে। আবার অন্যদিকে লোকজন বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। প্রতি বছর দেখা দিচ্ছে ভয়াবহ বন্যা কিন্তু সংশ্লিষ্টরা উদাসীন। 

এমন পরিস্থিতিতে জকিগঞ্জ জনদাবী আদায় পরিষদের আহবায়ক ও জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল হাসান এবং সদস্য সচিব সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের আহবানে মঙ্গলবার জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সর্বদলীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে জনদাবী আদায় পরিষদের আহবায়ক ও জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক দলের আহবায়ক ইকবাল আহমদ তাপাদার, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও  জকিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম রোকবানী চৌধুরী জাবেদ, খেলাফত মজলিস সিলেট জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা মুখলিছুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের  সহসভাপতি মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মুছব্বির, ইসলামী আন্দোলন জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি হেকিম সিহাব আহমদ, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী সারওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল খালিক, জকিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মাসুক উপজেলা জমিয়তের সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুস শহিদ, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি রহমত আলী হেলালী,  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মুন্না, সহ সাধারণ সম্পাদক মুর্শেদ আলম লস্কর, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলা উদ্দিন তাপাদার, ইসলামি আন্দোলন উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জয়নুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদ রনি, সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি জাফরুল ইসলাম, শ্রমিক জমিয়তের জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দীন নোমানী,  আঞ্জুমানে আল ইসলাহ জকিগঞ্জ উপজেলা নেত মাওলানা ফদ্বলুর রহমান, পৌর আল ইসলাহ সভাপতি কাজী হিফজুর রহমান, পৌর জাময়াতের সেক্রেটারী আবু রুশদ মো. ইকবাল, যুব জামায়াতের জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান, বারঠাকুরী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন, ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য ওমর ফারুক, প্রবাসী কয়েছ আহমদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা বলেন, সারা দেশের নদী ভাঙ্গন আর জকিগঞ্জের নদী ভাঙ্গন এক নয়। এখানে নদী ভাঙ্গনের ফলে দেশের মানচিত্রের পরিবর্তন ঘটে। দেশের মাটি ভারতের দখলের চলে যাচ্ছে। জকিগঞ্জের মানুষ ভিটেমাটি হারা হচ্ছে। শত-শত একর ফসলী জমি, ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট হারিয়ে আজ জকিগঞ্জ উপজেলাবাসীর চরম কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পরির্দশন ছাড়া কার্যকরী কোন প্রদেক্ষেপ নিচ্ছে না। চলিত সপ্তাহে নদীর পানি কমলেও এখনো জরুরী মেরামতের কোন উদ্যোগ নেই। বক্তারা হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আগামী ৪ দিনের মধ্যে ভাঙ্গনের স্থানগুলো জরুরী মেরামতের ব্যবস্থা না করলে জকিগঞ্জ জনদাবী আদায় পরিষদের নেতৃত্বে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

সভার শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জনদাবী আদায় পরিষদের সদস্য সচিব মোস্তাক আহমদ।  লিখিত বক্তব্যে কয়েকটি দাবী উত্থাপিত করা হয়। দাবীসমূহ হলো, চলতি বর্ষা মৌসুমে দ্বিতীয়বার বন্যা নিয়ন্ত্রণে অস্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ সংস্কার ও বাঁধ রক্ষায় আশু পদক্ষেপ গ্রহণ। সুরমা-কুশিয়ারার ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্লক ফেলে নদীর তীর রক্ষা। ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ টেকসই নির্মাণ। সুরমা-কুশিয়ারায় ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা। বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে হবে।

এই সম্পর্কিত আরো