✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

কানাইঘাটে পুনরায় দাফন হবে হারিছ চৌধুরীর লাশ

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর লাশ তার নিজ এলাকা সিলেটের কানাইঘাটে পুনরায় দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে প্রয়াত বিএনপি নেতার মেয়ে সামিরা তানজিম চৌধুরী শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে নির্ধারিত স্থানটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা নাসরীন ও স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজার এলাকায় হারিছ চৌধুরী তার বাবার নামে শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মৃত্যুর আগে তাকে ওই স্থানে দাফন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী হাইকোর্টের অনুমতিতে পুনরায় হারিছ চৌধুরীর পরিবার এতিমখানার পাশে তাকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হারিছ চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি উপজেলার দর্পনগর গ্রামে।

হারিছ চৌধুরীর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ও আইনজীবীদের সূত্র অনুযায়ী, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানল থেকে বাঁচতে হারিছ চৌধুরী আত্মগোপনে ছিলেন। পরবর্তী সময়ে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে ঢাকা শহরেই ছিলেন। ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হারিছ চৌধুরী রাজধানীর এক হাসপাতালে মারা যান। কিন্তু তৎকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপে তার মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে জোর করে ঢাকার অদূরে সাভারে একটি মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে কবর দিতে বাধ্য করা হয়। সরকার সে সময় তার প্রকৃত পরিচয় অনুযায়ী কোনো মৃত্যুসনদ দেয়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার প্রাপ্য সম্মানটুকু দেয়নি।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানাজিন চৌধুরীর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। সাভারের মাদ্রাসার কবরে ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে সমাহিত হারিছ চৌধুরীর লাশ (দেহাবশেষ) তুলে ডিএনএ পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ডিএনএ পরীক্ষায় ওই লাশের সঙ্গে সামিরার ডিএনএ মিলে যায় এবং হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় মেলে। পরে হাইকোর্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যথাযথ সম্মান দিয়ে হারিছ চৌধুরীকে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন। বর্তমানে হারিছ চৌধুরীর লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে আছে।

কানাইঘাটের ইউএনও ফারজানা নাসরীন বলেন, ‘প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীর মেয়ে তার বাবার পুনরায় দাফনের জন্য নির্ধারিত স্থানটি দেখতে এসেছিলেন। আমিও সঙ্গে ছিলাম। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ সম্মান দিয়ে তার পুনরায় দাফন হবে। তবে কবে দাফন হবে, সেটা তার পরিবারের সদস্যরা এখনো জানাননি।’

এই সম্পর্কিত আরো