রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
advertisement
সিলেট বিভাগ

ঈদের ছুটিতে ঘুরতে পারেন সিলেটের যেসব স্থানে

ঈদ মানে আনন্দ আর খুশি। আর এই এই আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে ভ্রমণ। এবারের ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এই সুযোগে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে দেখতে পারেন প্রকৃতিকন্যা সিলেটকে। 

প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটে দর্শনীয় স্থানের যেন শেষ নেই। উঁচু-নিচু টিলা, সবুজে আচ্ছাদিত চা বাগান ও পাথরের বিছনারও উপর দিয়ে ছুটে চলা স্বচ্ছ পানি নিমিষেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয়।

প্রকৃতি ঘেরা এসব দর্শনীয় স্থান ছাড়া সিলেট নগরীতে রয়েছে দেখার মতো অনেক স্থান। তার মধ্যে অন্যতম- কিন ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, চাঁদনি ঘাটের সিঁড়ি, হজরত শাহজালাল (রহ.) ও শাহ পরান (রহ.), খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, শাহী ঈদগাহ ও গৌর গোবিন্দের টিলা প্রভৃতি।

সাদাপাথর

যত দূর চোখ যায় কেবল সাদা সাদা পাথর, মাঝখানে স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ে মেঘের আলিঙ্গন। ঝরনার শীতল পানির গন্তব্য ধলাই নদ। স্বচ্ছ নীল জল আর পাহাড়ের সবুজ যেন মিলেমিশে একাকার। সাদা পাথর দেখতে যেতে হবে সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে, কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।

রাতারগুল

জলাবন হিসেবে রাতারগুল ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে দেশে। প্রকৃতি এখানে কতটা সুন্দর ও সবুজ, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা দায়। এখানকার গাছপালা বছরে ৪ থেকে ৭ মাস পানির নিচে থাকে। বর্ষাকালে এই বন ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। এখানে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতারগুল দেখার উৎকৃষ্ট সময় বর্ষাকাল। বনের ভেতর নৌকাভ্রমণ এখানকার প্রধান আকর্ষণ।

জাফলং 

গোয়াইনঘাটের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে রূপের পসরা সাজিয়ে আছে জাফলং। পিয়াইন নদের তীরে স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ জাফলংকে করেছে আকর্ষণীয়। এখান থেকে সীমান্তের ওপারের প্রকৃতি দেখা যায় সুন্দরভাবে। এখানে যাওয়ার সময় দেখা যাবে শ্রীপুর চা-বাগান, ইকোপার্ক।

রাংপানি

পাহাড়-ঝরনা আর সাদা সাদা পাথরের মিতালি রাংপানিতে। এখানে যাওয়ার পথের দুই দিকে সুপারিবাগান। গোয়াইনঘাটের মোকামপুঞ্জি এলাকায় এটি। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার। রাংপানি নদীর পাশেই রয়েছে খাসিয়াদের গ্রাম মোকামপুঞ্জি। প্রাচীনকাল থেকে এই নদী আর পাহাড় ঘিরে তাদের বসবাস।

উৎমাছড়া

সারি সারি পাহাড়, পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে চলা শীতল স্বচ্ছ জলরাশি। পাহাড়ের বুকে গাঢ় সবুজের প্রলেপ। এ সবকিছু দেখা যাবে কোম্পানীগঞ্জের উৎমাছড়ায়। এখানেও আছে নীল আকাশের নিচে ছড়ানো পাথর।

লালাখাল

ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে বাংলাদেশ অংশে লালাখালের অবস্থান। এ নদীর পানি নীল। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁক আছে। এর পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সারি গোয়াইন নদ। এর তীরে আছে পাহাড়ি বন, চা-বাগান এবং নানা প্রজাতির গাছপালা। লালাখাল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় অবস্থিত।

লোভাছড়া

পাহাড়, মেঘ আর স্বচ্ছ নদীর পানির সঙ্গে নীল আকাশের মিতালি মানেই লোভাছড়া। সুরমা ও লোভা নদীর সংগমস্থল লোভার মুখ। এখানে একসঙ্গে চা-বাগান, প্রাকৃতিক হ্রদ ও ঝরনা, ঝুলন্ত সেতু, খাসিয়া গ্রাম, মীরাপিং শাহর মাজার, মোগল রাজা-রানির পুরাকীর্তি, প্রাচীন দিঘি, পাথর কোয়ারি ও বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন দেখা যায়।লোভাছড়া নদীর পাশে ব্রিটিশ আমলে প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ একর জমির ওপর ইংরেজদের মালিকানায় গড়ে উঠেছিল লোভাছড়া চা-বাগান। পাশেই আছে লালাখাল চা-বাগান।

এই সম্পর্কিত আরো