হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলির অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রায় ২০০ জনের নামে আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি আদালত এফআইআর গন্যে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে নবীগঞ্জের ১০ জন রয়েছেন বলে জানাগেছে।
গত ২ জুন মামলাটি হবিগঞ্জ আদালতে দায়ের করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আউশপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে সালমান মিয়া। মামলাটি হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এতে গত ১৮ জুলাই বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে হবিগঞ্জ সদর থানার সরকারী নাসিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন স্টাফ কোয়াটার মুখ মেইন রোডে আশপাশের এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. আবু জাহির, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী বানিয়াচংয়ের শাহনেওয়াজ, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান মাহি,নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মুহিবুর রহমান হারুন, হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য যুবলীগ নেতা শেখ শফিকুজ্জামান শিপন, বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা কাওসার মিয়া,চৌধুরী, মাধবপুরের শ্রমিকলীগের নেতা জাহের আলী শাহ, বানিয়াচংয়ের যুবলীগ নেতা তপন সর্দার, কামরুল ইসলাম, বহুলা দীঘলবাকের আব্দুর রাজ্জাক কামরুল, বড় আব্দার অজুদ মিয়া, পুকড়ার নাজমুল ইসলাম, চুনারুঘাট গনকিরপারে মোঃ আব্দুর রুপ, চুনারুঘাটের গাজীপুরেরজহিরুল ইসলাম, মাধবপুর ফতেপুরর মুহিবুর রহমান শাহীন, আহমদ ্ধসঢ়;আলী শাহ হৃদয়, লাখাই যুবলীগ নেতা এনামুল হাসান, ব্রাষ্মণবাড়িয়া তেলিয়া পাড়ার রোমান মোল্লা, বানিয়াচংয়ের নাজিম উদ্দিন, বি বািিড়য়ার খাটুরার খাইরুল ইসলাম সেকুল, বানিয়াচংয়ের ঘাটুরার আফজাল মিয়া , মুরাদ পুরের ইমন মিয়া,বহুলার লোকমান মিয়া, মাধবপুর ফতেহ পুরের খিরু শাহ,হবিগঞ্জ নিজাম পুরের মুহিবুর রহমান, মির্জাপুরের আব্দাল মিয়া, নবীগঞ্জের কালাভর পুরের যুবলীগ নেতা জাকির খান, চরগাও গ্রামের ফারছু চৌধুরী, যুবলীগ নেতা হেলাল মিয়া, যুবলীগ নেতা আল আমিন মিয়া, গুজাখাইড় হারুন মিয়া প্রমুখ।
আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলি ছোড়াসহ হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় বাদী নিজেও গুলিবিদ্ধ হন।