রাত পার হতেই কুরবানির ঈদের নামাজ এর অপেক্ষায় পুরো বাংলাদেশ।
১০ দিনের টানা ছুটিতে নাড়ির টানে ঢাকা ছেড়েছে কোটি মানুষ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঈদ যাত্রায় বেশ মানুষের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হলেও সিলেটবাসি এবারের ঈদে নিরাপদে- নির্বিঘ্নে ফিরতে পেরেছে তাদের প্রিয়জনদের কাছে। ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান থাকায় মহাসড়কের খুব বেহাল অবস্থা। তবে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিওনের প্রতিটি সদস্যের দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম, উর্ধতন কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকি, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সচেতনতায় হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ এবং সিলেটের মানুষজন ও সিলেটগামি পশু বাহি ট্রাক নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পেরে সাধারণ যাত্রি, পর্যটক, পশুবিক্রেতা ও পরিবহন মালিক - শ্রমিক সকলেই খুশি।
ঢাকা সিলেট মহাসড়কে এবারের ঈদ যাত্রায় বড়ো কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, ছিলোনা দীর্ঘ যানজট।
এবিষয় হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিওনের পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম জানান গত দেড় মাস থেকে তারা মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে একাধিকবার মিটিং করেছেন, পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সাথে বৈঠক করেছেন, মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাজার কমিটির সাথে আলাপ আলোচনা করেছেন। সর্বোপরি হাইওয়ে পুলিশের প্রতিটি সদস্য নির্ঘুম মহাসড়ক পাহাড়া দিয়েছেন। তিনি আরো জানান এবারের ঈদে সিলেট অঞ্চলে কোনো পশুবাহি ট্রাক ছিনতাই হয়নি কিংবা কোনো পরিবহন যাত্রিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাগা আদায় করেনি। সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন এই ঈদ যাত্রা উপহার দেয়ার জন্য তিনি হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি সদস্য, পরিবহন মালিক- শ্রমিক-যাত্রী, মিডিয়া কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জনাব আবদুর রহিম বলেন, এবারের ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিরাপদে তাদের গন্তবস্থানে পৌঁছেছেন। কোন ধরনের দূর্ঘটনা ও কোন ডাকাতি হয়নি। এতে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট রিজিয়নের ভূমিকা ছিলো অনন্য।
সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন বলেন, এবারের ঈদে সিলেট জেলার গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কসমূহ, বিশেষ করে হাইওয়ে রোডে কোন ধরনের বড় দুর্ঘটনা বা বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। ট্রাক মালিক, চালক এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ছিল শৃঙ্খলা ও সচেতনতা। সেইসঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।