নবীগঞ্জে নির্যাতিত ১৫টি পরিবার গ্রাম ছাড়া । তাদের ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দেওয়া হবে না।
১৫টি পরিবারের মানুষকে পঞ্চায়েতের বাদ বলে দোহাই দিয়ে মাতব্বররা তাদেরকে কোরবানি গ্রামে করতে দেয়া হবে না। এখন ১৫টি পরিবারের মানুষ পালিয়ে ভেড়াচ্ছেন।
এবিষয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখত অভিযোগ দিয়েও তারা এখনও গ্রামে ফিরতে পারেননি। চরম বিপন্ন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে ঐ ১৫টি পরিবারের মানুষ।
জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের কালাভর পুর গ্রামের আব্দুল হাদি গংদের দ্বারা নির্যাতিত ১৫ টি পরিবার। দীর্ঘ ছয় মাস যাবত হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট ও ভুক্তভোগী পরিবারের ফসলাদি সহ বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করিয়া আসিতেছে। এবং এলাকায় প্রকাশ্য দিবালকে অস্ত্রের মহরা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের আত্মীয় স্বজন কে মেরে ভয় ভীতি দেখিয়ে গ্রাম ছাড়া করেছে। এতে এলাকার জন সাধারণ তাদের ভয়ে আতঙ্কিত। তাদের এহেন অন্যায়, আত্যাচারের বিরুদ্ধে কেহই প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে একাদিক মামলা থাকা স্বত্যেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দিশে হারা ভুক্তভোগী পরিবার।
এরই ধারাবাহিকতায় তাদের ভয়ে গত ঈদুল ফিতরের দিনেও তারা বাড়িতে আসতে না পেরে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বসবাস করিয়া আসিতেছে। এরই আলোকে ঈদুল আজহা কে সামনে রেখে বাড়িতে গিয়ে ঈদ উদযাপন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা ছেয়ে গত ২২ মে ২৫ ইং নির্যাতিত ১৫ টি পরিবার হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখত অভিযোগ দেওয়াতে আসামীগন ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন কে অস্ত্র নিয়ে প্রাণে হত্যার জন্য খুঁজতে থাকে।
এমতাবস্থায় গত ৩১ তারিখ রোজ শুক্রবার অগ্নিসংযোগকারী মামলার বাদী নবেল মিয়া কে নবীগঞ্জ নতুন বাজার শায়ন টলিকম শাহেল আহমেদের দোকানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তাকে মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এবং তার সাথে থাকা গরু ক্রয় করার ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় জরিত থাকা আব্দুল হাদি, বদরুল গংদের বিরুদ্ধে আহত নবেল মিয়ার বড় ভাই বেলাল মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় লিখত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দীর্ঘ ছয় মাস যাবত চলমান বিরোধের একাধিক মামলা থাকা সত্বেও এখন পযন্ত কোন আসামী কে পুলিশ গ্রেফতার না করায় আসামীরা একের পর এক অন্যায় অত্যাচার করিয়া আসিতেছে।
এ নিয়ে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার খবর প্রচার হলে আব্দুল হাদি গংরা সারং বাজার সহ সারা এলাকায় অস্ত্রের মহরা দিয়ে বলে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এলাকায় যাওয়া মাত্রই তাদের কে ধরে জবাই করে ফেলবে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ও রক্তপাত হওয়া বৃদ্ধমান।
এতে অত্র ইউনিয়নের ঘন্যমান্য লোকজন প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এ ব্যপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান তিনি বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করছেন।