শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
✔ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শিরোনাম
শিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে জামায়াত আমির - যুবকদের বেকার ভাতা নয়, তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই সেদিন তারেক রহমানের সঙ্গে মান্নার কী কথা হয়েছিল, জানালেন স্ত্রী তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি - যুক্তরাষ্ট্রের ১০ ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে তাহিরপুর সীমান্তে ২৪টি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার শান্ত-মুশফিক জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেটকে হারাল রাজশাহী: বিপিএল নাজিব রাজাক দুর্নীতির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত আবারও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান শীতের সবজিতে কাঁচাবাজারে স্বস্তি বিয়ে সুন্নত নাকি ফরজ?
advertisement
সিলেট বিভাগ

পৃথক অভিযোগ

সিলেটে টেন্ডার জমা দিতে বাধা দিল বিএনপি-যুবদল

সিলেট জেলা পরিষদের তত্বাবধানে খেয়াঘাট ইজারার জন্য দরপত্র দাখিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি নেতাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও জয়নুল আবেদিন বৃহস্পতিবার পৃথক দুইটি টেন্ডার জমা দিতে গেলে বিএনপি ও যুবদল নেতাদের বাঁধার মুখে টেন্ডার জমা না দিয়েই ফেরত আসেন। তাছাড়া জেলা পরিষদের কিছু কতিপয় কর্মকর্তা ও পুলিশ তাঁদের অসহযোগিতা করেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। 

এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে আজ (০১ জুন) নেজাম উদ্দিন ও জয়নুল আবেদিন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ,জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাটের উজানফৌদ এলাকা নেজাম উদ্দিন ও দনা এলাকার মাওলানা জয়নুল আবেদিন কানাইঘাট উপজেলার দর্পনগর-মমতাজগঞ্জ ও আটগ্রাম-কারাবাল্লা খেয়াঘাট দু’টির সিলেট জেলা পরিষদ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। 

বৃহস্পতিবার তারা ওই খেয়াঘাটসমূহের ইজারার জন্য সিলেট জেলা পরিষদে দরপত্র দাখিল করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। বৃহস্পতিবার ছিল খেয়াঘাটসমূহের ইজারার দরপত্র দাখিলের জন্য ধার্য্যকৃত দিন। ওইদিন দুপুরে তারা উভয়ে ব্যাংকের পে-অর্ডারসহ দরপত্র দাখিলের জন্য জেলা পরিষদে যান। কিন্তু সেখানে পৌঁছামাত্রই তারা কানাইঘাট উপজেলার মমতাজগঞ্জ নিবাসী বিএনপি নেতা সাব্বির আহমদ, সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াহিয়া ও কাড়াবাল্লা নিবাসী ফারুকর নেতৃত্বে একদল লোকের বাধার মুখে পড়েন। সাব্বির, ইয়াহিয়া ও ফারুক বাহিনী তাদেরকে জেলা পরিষদে প্রবেশে বাধা দেয় এবং নানান হুমকি-ধামকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করে। এই বাধা-বিপত্তির কারণে তারা আর দরপত্র দাখিল করতে পারেননি। ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিন ও মাওলানা জয়নুল আবেদিনের ভাষ্যমতে, সাব্বির, ইয়াহিয়া-ফারুক গংরা এককভাবে দরপত্র দাখিল করে স্বল্পমূল্যে খেয়াঘাটসমূহ ইজারা পাওয়ার জন্যই এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে ঘটনা ঘটলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলেন। টেন্ডারে বাঁধা দেওয়ার কাজে সিলেট বিএনপি ও যুবদলের বেশ কিছু নেতকার্মী উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়া সাব্বির আহমদ ও ইয়াহিয়াকে সিলেট জেলা পরিষদের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সহযোগিতা করেছেন বলে নেজাম উদ্দিন ও জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করেছেন। 


অভিযোগে আরোও উল্লেখ করা হয়, তাদের সিডিউল পে-অর্ডারের মূল্য ইয়াহিয়া-ফারুক গংদের দাখিলকৃত পে-অর্ডারের চেয়ে বেশী। তাই দরপত্র দাখিল করতে পারলে তারাই ইজারা পেতেন। সন্ত্রাসী কায়দায় তাদেরকে দরপত্র দাখিলে বাধা দিয়ে এককভাবে স্বল্পমূল্যে ইজারা নেওয়ার অপচেষ্টা সংঘটিত হয়েছে। তাই এককভাবে দাখিলকৃত দরপত্র অনুযায়ী ওই খেয়াঘাটসমূহের ইজারা চূড়ান্ত না করে জেলা পরিষদ কর্তৃক পুনরায় দরপত্র আহবানের দাবি জানিয়েছেন তারা।


এ বিষয়ে জয়নুল আবেদিন জানান, বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের টেন্ডার জমা দিতে গেলে শহরের বিএনপি ও যুবদলের কিছু নেতা এবং কানাইঘাটের স্থানীয় বিএনপি নেতারা আমাকে টেন্ডার জমা দিতে বাধা দিয়েছেন, আমি সবাইকে চিনি না তবে বিএনপির তাহের নামে একজন ছিলেন। তিনি সিলেট নগরীর উপশহরে থাকেন। আমি ন্যায় বিচার চাই।

সিলেট জেলা যুবদলের সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. ইয়াহিয়া সাথে মুটোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি কোন ধরনের বাধা দেই নাই আমি নিয়ম মেনে টেন্ডার পেয়েছি। কিছুক্ষণ পর ওয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে প্রতিবেদক উনাকে কেন আবার যোগাযোগ করেছেন জানতে চাইলে বলেন, আমি আমার নেতা আশিক চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করেছি। এজন্য আপনার সাথে আবারোও যোগাযোগ করলাম। আপনি নিউজটা যদি বন্ধ করে দিতেন তাহলে ভালো হতো।


এবিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে, ফারুক আহমদ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অমি জেলা পরিষদের একজন ঠিকাদার। খেয়াঘাটের কোন দরপত্র দাখিল করিনি এবং কারও সাথে পার্টনারও নই। আর কাউকে টেন্ডার জমা দানে বাধা দেয়ার তো প্রশ্নই আসেনা।


অভিযুক্ত সিলেট জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী বর্ণালী দাস বলেন, ঘোষণা আমি দেই না, ঘোষণা দেন দরপত্র মূল্যায়নের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার সাহেব।


জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ  কুমার সিংহ বলেন, টেন্ডার জমা দানে বাধার সম্মুখিন হয়েছে এরকম কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তবে জেলা পরিষদের এরিয়ার বাহিরে কোন কিছু ঘটে থাকলে তা আমাদের জানা নেই। কেউ যদি ভুক্তভোগী হয় , তবে তার পক্ষ থেকে অভিযোগ করার সুযোগ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে আমরা অভিযোগ প্রাপ্তীতে, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

এই সম্পর্কিত আরো

শিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে জামায়াত আমির যুবকদের বেকার ভাতা নয়, তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই

সেদিন তারেক রহমানের সঙ্গে মান্নার কী কথা হয়েছিল, জানালেন স্ত্রী

তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি যুক্তরাষ্ট্রের ১০ ব্যক্তি ও ২০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ

গুলিস্তানের খদ্দর মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

তাহিরপুর সীমান্তে ২৪টি শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার

শান্ত-মুশফিক জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সিলেটকে হারাল রাজশাহী: বিপিএল

নাজিব রাজাক দুর্নীতির আরেক মামলায় দোষী সাব্যস্ত

আবারও তেলবাহী ট্যাংকার জব্দ করেছে ইরান

শীতের সবজিতে কাঁচাবাজারে স্বস্তি

বিয়ে সুন্নত নাকি ফরজ?