টানা বৃষ্টিতে সেই পুরানো সিলেট মহানগরী। ডুবে গেছে অধিকাংশ রাস্তাঘাট। অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী। চোখ রাঙাচ্ছে সেই ২০২২ সালের মহা দুর্ভোগ।
শুক্র ও শনিবারের ভারী বৃষ্টিতে সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোথাও হাঁটু পানি, কোথাওবা কোমর সমান। এ অবস্থায় বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ নেই। আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন এ অবস্থা চলতে থাকবে।
সিলেট অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকেই থেমে থেমে ঝরছিল বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি। শুক্রবারেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সিলেট মহানগরীর নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি উঠার খবর পাওয়া গেছে।
তবে আজ শনিবার দুপুরের পর টানা আড়াইঘন্টার ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছিল নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার চৌহাট্টা এলাকা। এ দুই পয়েন্টে ছিল হাঁটু পানি।
এছাড়াও নগরীর রিকাবিবাজার, আম্বরখানা, ইলেক্ট্রিসাপ্লাই, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল সড়ক, বাগবাড়ী, উত্তর বাগবাড়ী এলাকা, মিরাবাজার, সুরমাতীরের মহাজনপট্টি, কালিঘাট, কাষ্টঘর, উপশহর-সুবহানীঘাট সংলগ্ন এলাকা, বিমানবন্দর, চৌকীদেখী, শাহপরাণ, কদমতলী ও সংলগ্ন এলাকায়, কাজিরবাজার, তালতলা, জামতলা, মাছিমপুর ইত্যাদি এলাকার রাস্তাঘাটগুলো পানির নিচের তলিয়ে যায়।
বৃষ্টি একটু কমলে জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে পানি নেমে গেলেও অন্যান্য এলাকায় এখনো জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
নিম্নাঞ্চলগুলোর অনেক বস্তীবাড়ীর ঘরে ঘরে পানি প্রবেশের খবরও পাওয়া গেছে।
এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ঝরছিল। এদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনে জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয় জানতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেকোন জরুরী পরিস্থিতিতে যোগাযোগের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবরের (মোবাইল: ০১৭১১৯০৬৬৪৭) নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সিলেট অঞ্চলে এমন ভারী বৃষ্টিপাত আরও দু’একদিন চলবে।