সিলেটের বিশ্বনাথে গরুচোর সন্দেহে ঘরের গ্রীলের সাথে বেঁধে শিশুকে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরন করেছেন আদালত।
তারা হচ্ছেন, উপজেলার দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও কালিজুরি মটুককুনা গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে লায়েক আহমদ (৩৫) মেম্বার, সদরপুর মটুককুনা গ্রামের কাহানুর মিয়ার ছেলে লোকমান মিয়া (৪৫) ও কালিজুরি মটুককুনা গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (৩২)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) তারা সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
এসময় আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর পূর্বে ওই তিন আসামি ৪ মে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাদের জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের ভেতরে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ করেন।
বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে তাদের হাজিরা দেয়ার শেষ দিন ছিল। আর এই তারিখে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তারা হাজির হয়ে জামিন চাইলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট ইদিআমিন লিওন। তবে মামললার প্রধান আসামি কালিজুরি মটুককুনা গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে নানু মিয়া (৩৫) ও ৫ নং আসামি সদরপুর মটুককুনা গ্রামের মৃত কামসির আলীর ছেলে বারিক মিয়া পলাতক রয়েছেন বলেও তিনি জানান।
গক (১৬ মার্চ) উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের রুহেল মিয়ার শিশু সন্তান অলিউর রহমান (১৪) কে গরুচুরির অপবাদ দিয়ে আসামিরা রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লায়েক আহমদ মেম্বারের বাড়িতে। সেখানে নিয়ে লায়েক আহমদ মেম্বারের ঘরের গ্রীলের সাথে বেঁধে শিশু অলিউর রহমান’কে অমানবিক নির্যাতন করা হয়।
আর এঘটনায় ১৮ মার্চ অলিউর রহমানের মা জলি বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ওই মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-(১২)।