ঈদের আর মাত্র ৯ দিন বাকি থাকলেও এখনো জমে ওঠেনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ঈদ বাজার। উপজেলার প্রধান প্রধান হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানপাটে পসরা সাজানো থাকলেও ক্রেতা সংকটে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। গেল ঈদুল ফিতরে এই সময়ে যেখানে বিক্রির ব্যস্ততায় হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল, এবার চিত্র একেবারেই ভিন্ন।
বাজারে মন্দাভাবের পেছনে মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে মানুষের হাতে নগদ অর্থের অভাব। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বলছেন, চলতি মৌসুমে অনেকেই আগেভাগে শহরমুখো হয়ে পড়ায় স্থানীয় বাজারে ক্রেতার চাপ কম। এছাড়া কর্মসংস্থান সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবারিক ব্যয়ের চাপ সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
উপজেলার ব্যস্ততম বাদাঘাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের পোশাক ও পণ্যে দোকান সাজানো হলেও ক্রেতার দেখা মিলছে না তেমন। অনেক দোকানি সময় কাটাচ্ছেন মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে কিংবা দোকানের কোণে বসে।
রয়েল ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী রয়েল আহমদ বলেন, ‘এবার বাজার একদম ফাঁকা বলা যায়। মানুষের হাতে নগদ টাকার খুব অভাব। হয়তো শেষ সময়ে কিছুটা বিক্রি বাড়বে, কিন্তু এখন যে অবস্থা তাতে ব্যবসায়িকভাবে আমরা বেশ ক্ষতিতে পড়েছি।’
বাদাঘাট বাজারের মার্সেল শোরুমের মালিক আক্তার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে যারা বাজারে আসছেন, তারা অনেকেই শুধু দেখে যাচ্ছেন। পরিবারে সদস্যদের আবদার পূরণে হয়তো কেউ কেউ শেষ মুহূর্তে ধারদেনা করে হলেও কিছু কিনবেন এই আশায় আছি।’
তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী বলেন, ‘এবার হাওরে বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে স্বস্তির বিষয়। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং মৌসুমি কর্মসংস্থানের অভাব মানুষের ভোগান্তি বাড়িয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়।