সিলেটের ওসমানীনগরে প্রবাসী শেখ মাসুক মিয়া হত্যা মামলায় আটজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সিলেট ওসমানীনগর উপজেলার ফতেহপুর গুপ্তপাড়া গ্রামের মৃত শেখ মদরিছ আলীর ছেলে ও নিহত ব্যক্তির ভাই শেখ আলফু মিয়া (৪১), সহোদর শেখ পংকী মিয়া (৪৩), শেখ তোতা মিয়া (৫৭), শেখ আব্দুর রব ওরফে লেবু মিয়া (৬৩), শেখ পংকী মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম, আব্দুর রউফ ওরফে লেবু মিয়ার স্ত্রী শেখ আনোয়ারা বেগম ওরফে এশাই (৪৮), একই এলাকার মৃত আখলাছ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন ওরফে অহর (৪৬) এবং উপজেলার গ্রামতলা দাসপাড়ার হাজি আলা উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ওরফে দিপু মিয়া (৪৩)। তাঁদের মধ্যে দিপু মিয়া পলাতক রয়েছেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি আইনজীবী এখলাছুর রহমান ও আল আসলাম মুমিন এবং আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল মজিদ খান ও পলাতকের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী ছিলেন ফারজানা হাবিব চৌধুরী।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুন বেলা ৩টার দিকে নিজ বাড়ি ফতেহপুর গুপ্তপাড়া থেকে গোয়ালাবাজারে যান প্রবাস ফেরত মাসুক মিয়া। বাজার থেকে ওই দিন তিনি আর ফিরে আসেননি। মোবাইল ফোনে তাঁর স্ত্রী যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কেউ ফোন ধরেনি। পরদিন ১৪ জুন ওসমানীনগরের দাসপাড়া গফুর মিয়ার বাড়ির পশ্চিম পাশে কবরস্থানের সামনে রাস্তা-সংলগ্ন সাবু মিয়ার ধানখেত থেকে মাসুক মিয়ার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত আলফু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তভার বর্তায় ওসমানীনগর থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মাঈন উদ্দিনের ওপর।
তদন্তকালে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত ব্যক্তির ভাই আলফু, পংকী ও তোতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
পরে ওসমানীনগর থানার এসআই মমিনুল বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।